১৯৪৭ সালের ১৫
আগস্ট
উপমহাদেশে
ব্রিটিশ
শাসনের
সমাপ্তি
ঘটে।
সৃষ্টি
হয়
ভারত
ও
পাকিস্তানের।
পূর্ব
বাংলা—যেখানে
মুসলমান
বাঙালিরাই
ছিল
সংখ্যায়
ভারী,
আর
আসামের
ছোট
একটি
অংশ
সিলেট
ও
পার্বত্য
চট্টগ্রাম
নিয়ে
গঠিত
হয়
পাকিস্তানের
পূর্বাংশ—পূর্ব
পাকিস্তান।
শুধু
ধর্মের
ওপর
ভিত্তি
করে
সুদূর,
বিচ্ছিন্ন
দুই
ভূখণ্ডকে—যে
দুটোর
জনগোষ্ঠীর
ভাষা
ও
সংস্কৃতি
সম্পূর্ণই
আলাদা—একই
রাষ্ট্রের
অন্তর্ভুক্ত
করা
বড়
রকমের
ভুল
সিদ্ধান্ত
ছিল,
বাঙালিদের
এ
বোধ
গড়ে
উঠতে
দেরি
হয়
না।
১৯৪৮
থেকে
১৯৫২—এই
কয়েক
বছরের
ব্যবধানেই
বাঙালি
জাতীয়তাবোধের
উন্মেষ
ঘটে
যায়।
বায়ান্নর
২১
ফেব্রুয়ারির
মধ্য
দিয়ে
যা
পাকাপোক্ত
আসন
গাড়ে
বাঙালি
মানসে।
সামরিক
শাসক
আইয়ুব
খানের
ক্ষমতা
দখলের
পর
পরই,
বাঙালিদের
রাজনৈতিক
অসন্তোষ
প্রশমনের
এক
পন্থা
হিসেবে,
সিদ্ধান্ত
নেয়া
হয়
ঢাকাকে
পাকিস্তানের
দ্বিতীয়
রাজধানী
হিসেবে
গড়ে
তোলা
হবে।
১৯৫৯
সালে,
পাকিস্তানের
সেকেন্ড
ক্যাপিটাল
কমপ্লেক্স
প্রকল্পটি
হাতে
নেয়া
হয়।
ঢাকার
তেজগাঁও
এলাকার
বিস্তীর্ণ
কৃষিজমির
অনেকটা
অংশ
প্লট
হিসেবে
বরাদ্দ
পায়।
১৯৬২
সালেই
সিদ্ধান্ত
হয়,
দেশের
বাইরে
থেকে
বিশ্বমানের
স্থপতিকে
দিয়ে
কমপ্লেক্স
ডিজাইনের
কাজ
করানো
হবে।
উত্তর-ঔপনিবেশিক
নতুন
রাষ্ট্রের
স্থাপত্যে
নবযুগের
ধ্যানধারণার
আমদানি
করাই
ছিল
এমন
সিদ্ধান্তের
কারণ।
এছাড়া,
স্বাধীন
ভারতে
চণ্ডীগড়ের
ক্যাপিটাল
কমপ্লেক্সটির
ডিজাইন
করেছিলেন
আধুনিক
স্থাপত্যের
কাণ্ডারী
ল্য
করবুসিয়ের—এ
দৃষ্টান্তও
পাকিস্তানি
কর্তৃপক্ষের
সামনে
ছিল।
ইউরোপ-আমেরিকার
যে
কজন
স্থপতির
নাম
প্রস্তাব
করা
হয়,
তাদের
মধ্যে
করবুসিয়েরের
নামও
ছিল।
সেই
সঙ্গে
তোলা
হয়
আরো
দুজন
পথিকৃৎ
স্থপতির
নাম—আলভার
আলটো
ও
লুই
আই
কান।
তিনজনের
মধ্য
থেকে
শেষ
পর্যন্ত
লুই
কানকেই
প্রস্তাবটির
স্থপতি
হিসেবে
নির্বাচন
করা
হয়।
দুই. বাঙালি এক স্থপতি
লুই কানকে
ঢাকায়
আনার
পেছনে
যার
ভূমিকা
সবচেয়ে
বড়
ছিল,
তিনি
স্থপতি
মাজহারুল
ইসলাম।
কোনো
মাস্টার
স্থপতিকে
দিয়ে
নতুন
কমপ্লেক্সের
ডিজাইন
করাতে
হবে—এ
ধারণা
তারই
চেতনাজাত।
করবুসিয়ের,
আলটো
ও
কানের
নামও
তিনিই
প্রস্তাব
করেন।
ওই
সময়ে
পূর্ব
পাকিস্তানে
তিনিই
ছিলেন
একমাত্র
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
বাঙালি
স্থপতি।
একজন স্থপতি হিসেবে ১৯৫৩ সালে মাজহারুল ইসলাম যখন কাজ শুরু করেন, সে সময় আমাদের দেশে স্থাপত্যের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পরই প্রকৌশলী