রাশিয়ান ঔপন্যাসিক
Ayn Rand-এর
১৯৪৩
সালে
প্রকাশিত
The Fountainhead
উপন্যাস
অবলম্বনে
১৯৫৮
সালে
নির্মিত
‘সূর্যতোরণ’ চলচ্চিত্রে
একজন
উত্তম
কুমার
চেয়েছিল
স্থাপত্যের
মাধ্যমে
সমাজকে
পরিবর্তন
করতে,
স্বপ্ন
দেখেছিল
বঞ্চিত
মানুষের
জন্য
উন্নত
স্থাপত্যের।
আর
বিংশ
শতকের
শেষার্ধে
স্বাধীন
বাংলাদেশে
আরেক
উত্তম
কুমার
কাজ
করে
চলছে
অতীত
ঐতিহ্য
ধারণ
করে
আধুনিক
সংবেদনশীল
কাব্যিক
স্থাপত্য
বিনির্মাণে।
স্থপতি উত্তম কুমার সাহার জন্ম ১৯৫৭ সালে পুরান ঢাকার ২/২ মোহিনীমোহন দাস লেনে। স্থপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন বুয়েটে। ১৯৮১ সালে স্থাপত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর সে বছরই যোগদান করেন বাংলাদেশের স্থাপত্যের আরেক দিকপাল স্থপতি বশিরুল হকের অফিসে। ১৯৮২ সালে স্থপতি উত্তম কুমার সাহা স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলামের সহায়তায় ও তত্ত্বাবধানে স্থপতি রাজিউল আহসান খোকন, স্থপতি নাজমুল লতিফ সুহাইল, স্থপতি সৈয়দ এজাজ রসুল, স্থপতি নাহাস আহমেদ খলিল, স্থপতি রাশিদুল হাসান ছবিসহ আরো অনেকে মিলে পরীবাগে মাজহারুল ইসলামের অফিসে ‘চেতনা’ নামে একটি অধ্যয়ন চক্র শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে স্থপতি সাইফ উল হক এবং স্থপতি কাজী খালেদ আশরাফ সেখানে যোগদান করেন এবং তার কার্যক্রমে গতি সঞ্চার করেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত উত্তম সাহা ‘কনসোসিয়েটস লি.’-এ কাজ করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি তার নিজের স্থাপত্যচর্চার প্রতিষ্ঠান ‘নন্দন আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ারস অ্যান্ড প্ল্যানারস’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্থাপত্যে নিবেদিত তরুণ এ স্থপতি তার স্থাপত্যচর্চার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেন রবীন্দ্রসংগীতের এবং ১৯৮৯ সালে ঢাকা সংগীত ভবন থেকে রবীন্দ্র সংগীতের ওপর তিনি পাঁচ বছরের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। ১৯৯০-৯৩ সালে তিনি বাংলাদেশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউটের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৯৩-৯৫ সেমিনার বিষয়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশে স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কারের মনোনয়নকারী হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০০০ সালে বাংলাদেশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউট থেকে বহুতল আবাসন প্রকল্প বিভাগে ‘আইএবি ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে তার পাঁচটি প্রকল্প আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করে। তিনি ২০০৫ সালে ‘আইএবি ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড-২০০৪’ প্রতিযোগিতার জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি দেশে-বিদেশে স্থাপত্যবিষয়ক বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বক্তা ছিলেন এবং দেশে-বিদেশে