মাজহারুল ইসলাম ও আজকের বাংলাদেশ

কানিতা হাসান

স্থাপত্যরীতি হিসেবে বাংলো বিশ্বব্যাপী পরিচিত। বিশেষ করে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বাংলো মূলত আবাসিক ভবন হিসেবে প্রচলিত। যদিও স্বাচ্ছন্দ্য অভিজাত্য স্থান হিসেবে খ্যাত, তবে দর্শনীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও বাংলোর সুনাম রয়েছে। বাংলোকে ব্রিটিশদের আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, ইংরেজি ছাড়াও অন্যান্য ভাষায় বাংলো শব্দটির ব্যবহার লক্ষণীয়। বাংলো সাধারণত একতলাবিশিষ্ট ভবন এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটিকে অবকাশযাপনের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর বহির্ভাগ উন্মুক্ত লম্বা বারান্দাযুক্ত, সেখানে বসে দীর্ঘ অবসর কাটানো যায়। ক্রমশ অবকাশযাপনের কেন্দ্র হয়ে ওঠা বাংলোর বিশাল জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ।

উনিশ শতকের মধ্যভাগের ব্রিটেনে ধরনের অবকাশযাপন প্রথার খোঁজ মেলে। যেখানে মূল কর্মকাণ্ডই ছিল সূর্যস্নান আর ছুটির দিনগুলোতে সময় কাটানো। বার্চিংটনের রিসোর্ট বা বাংলোগুলো তাই সমুদ্রসৈকতের তটঘেঁষেই গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ান আমেরিকানরা বাংলো নির্মাণ ব্যবহার করতে থাকে। যা কিনা বাংলোর বৈশ্বিক বিস্তারের বিষয়টিকে নিশ্চিত করে।

তবে বাংলোর মূল উদ্ভব আরো প্রাচীনে নিহিত। আর সে সময় এটি কোনো রিসোর্ট বা অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হতো না, বরং এটি ছিল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়া মোকাবেলার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার বিচক্ষণ স্থাপত্য কৌশল, অঞ্চলটি একসময় ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল।

বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ বদ্বীপ ভূমি। বৈশিষ্ট্যগতভাবে এটি সমতল জলাভূমি হওয়ার কারণে কৃষিকাজের জন্য সুবিধাজনক। এখানের স্থানীয় জনগণ, যারা কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা নিজেদের থাকার যে বাড়িগুলো তৈরি করত, সেগুলো হয় তাদের চাষাবাদকৃত ভূমির মধ্যে কিংবা মাঠের কাছাকাছি হতো। আকারে ছোট বাড়িগুলো হতো অস্থায়ী, সাময়িকভাবে কিছুদিন থাকার জন্য। কেননা পরবর্তী সময়ে তারা জায়গা থেকে বসতি গুটিয়ে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করত।

বিভিন্ন অভিধানেও উল্লেখ করা হয়েছে যেবাংলোশব্দটি মূলতবাংলাথেকেই এসেছে এবং এর উত্পত্তিস্থল বাংলাতেই।বেঙ্গল হাটমানেবাংলা কুঁড়েঘর নির্মাণে সহজ অস্থায়ী ঘরগুলোয় গ্রামের লোকেরা নিজেদের বসবাসের পাশাপাশি গবাদিপশু রাখার স্থান হিসেবেও ব্যবহার করত। বদ্বীপ অঞ্চলে নদীর ভাঙন আর বন্যার বিষয়টি নিয়মিত। সেক্ষেত্রে অঞ্চলের অধিবাসীরা বাংলো ধরনের ঘর তৈরি করত, ফলে এটি সহজে স্থানান্তরযোগ্য হতো। ষোল শতকের মধ্যভাগে যখন প্রথম ইউরোপীয় বণিকরা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে অঞ্চলে পাড়ি জমাতে থাকে তখন তারা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন