দলের সেরা খেলোয়াড় ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই ভারত সফরের কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ। জুয়াড়ুদের কাছ থেকে তিন দফা প্রস্তাব পেয়েও কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি), সঙ্গে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। ফলে সাকিবকে ছাড়াই খর্বশক্তির দল শক্তিশালী ভারতের মোকাবেলা করবে। সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ায় ভারত সফরে টি২০ সিরিজে মাহমুদউল্লাহ ও টেস্ট সিরিজে মুমিনুল হক নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ দলকে। সিরিজ খেলতে আজই ভারত যাচ্ছে ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিরুদ্ধে ক্রিকেটারদের আন্দোলন যখন সফলতায় রূপ নেয়, তখন স্বস্তি ফেরে মিরপুরে। আশা ছিল, সাকিবদের দল এবার খুশিমনেই ভারত সফরে যাবে। তবে এ সিরিজ ঘিরে শুরু থেকেই অনিশ্চয়তার এক কালো মেঘ উঁকি দিচ্ছিল। প্রথমে ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল পারিবারিক কারণ দেখিয়ে সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। এরপর সাকিবকে নিয়ে অনিশ্চয়তা। অনুশীলন ক্যাম্পে চারদিনের মধ্যে তিনদিনই তিনি অনুপস্থিত। তখন থেকেই গুঞ্জন উঠতে থাকে। তবে তিনি যে নিষিদ্ধ হবেন, তা গতকালের আগ পর্যন্ত জানা ছিল না কারোরই। গতকাল সন্ধ্যায় দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় আঘাত হয়ে আসে খবরটি। টেস্ট ও টি২০ দলনায়ক সাকিব জুয়াড়ুদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও বিসিবি কিংবা আইসিসিকে জানাননি বলে তাকে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়াই ভারত সফরে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।
গতকাল সারা দিন আলোচিত ছিল সাকিব ইস্যু। সাকিব নিষিদ্ধ হতে পারেন, এমন গুঞ্জন ছিল সর্বত্র। সাকিব কিংবা বিসিবির কেউ অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি সারাদিন। অবশেষে সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবকে নিষিদ্ধ করার কথাটি জানায় আইসিসি। এ খবরে স্তব্ধ হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিসিবির নির্বাচকরা পড়েন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। কেননা সাকিবের মতো অলরাউন্ডারের বিকল্প খেলোয়াড় বাছাই করার পাশাপাশি দুই ফরম্যাটে অধিনায়ক নির্বাচনের কঠিন চ্যালেঞ্জ।
সাকিবের নিষিদ্ধ হওয়ার খবর মেনে নিতে পারছে না তার ভক্তরা। মিরপুরসহ ঢাকার অসংখ্য জায়গায় গতকাল সন্ধ্যার পর সমর্থকরা জড়ো হয়ে এর প্রতিবাদ করেন। তারা একে দেখছেন ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে। তবে শাস্তি মেনে নিয়েছেন সাকিব নিজেই। তিনি বলেন, ‘যে খেলাটিকে ভালোবাসি, সে খেলাটি থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় আমি অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছি। কিন্তু আমার কাছে অনৈতিক প্রস্তাব আসার পরও আমি তা না জানানোয় শাস্তি মেনে নিচ্ছি। আইসিসির দুর্নীতিবিষয়ক কমিটির দুর্নীতিবিরোধী লড়াই আসলে খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করে। এ ব্যাপারে আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে