রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছালেও শিষ্যদের অতি উৎসাহী না হয়ে পা মাটিতে রাখতে বললেন চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হক। সেমিফাইনালে পাওয়া চোট গুরুতর নয় বলে জানান জামাল ভূঁইয়া।
ভারতের গোকুলাম কেরালা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে ১-০ ও ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল বন্দরনগরীর ক্লাবটি। নির্ধারিত সময়ের খেলায় ২-২ গোলের সমতা ছিল। অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিটে চিনেদু ম্যাথিউর গোলে জয় নিশ্চিত করে ‘স্কাই-ব্লু ব্রিগেড’।
‘আমরা প্রতিযোগিতা শুরু করেছি শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। আমরা লক্ষ্য অর্জনের খুব কাছে আছি। কিন্তু এখনো আমাদের অভিযান শেষ হয়নি। উৎসবে গা ভাসানোর সময় এখনো আসেনি’—গতকাল বলছিলেন চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হক। উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী এ কোচ যোগ করেন, ‘সেমিফাইনালে ছেলেদের নৈপুণ্য ছিল দুর্দান্ত। আমরা এখন ফাইনালে। যার অর্থ হচ্ছে, এখনো কোনো কিছু অর্জিত হয়নি।’
ম্যাচের প্রথমার্ধেই পায়ে চোট পান অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলা চালিয়ে যান ১০৫ মিনিট পর্যন্ত। এ মিডফিল্ডারকে পায়ের চোটের কারণে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হক জানিয়েছেন চোট গুরুতর নয়।
ডেনমার্কে বেড়ে ওঠা ২৯ বছর বয়সী এ ফুটবলার ইনজুরি সম্পর্কে গতকাল বণিক বার্তাকে বলেছেন, ‘ম্যাচের পর থেকে পায়ে ব্যথা অনুভব করছিলাম। আজ বরফ নিয়েছি। তবে এ চোট গুরুতর নয়। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠব।’
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ শেষ করে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে ওমান ম্যাচে মনোযোগ দেবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের আগে তো বটেই, ক্লাব কাপ ফাইনাল খেলা নিয়েও জটিলতা নেই বলে জানালেন জামাল ভূঁইয়া নিজেও।
নিজের চোট সম্পর্কে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচের প্রথমার্ধেই আমার পায়ে চোট লেগেছে। ওই সময়েই আমি মাঠ থেকে উঠে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোচ (মারুফুল হক) বলেছেন, আরো কিছুটা সময় খেলা চালিয়ে যাও। তোমাকে তুলে নেয়া হবে। শেষদিকে চোট বেড়ে যাওয়ায় মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছি।’