নিকেল আকরিক রফতানি বন্ধ করছে ইন্দোনেশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার উত্তোলনকারীরা নিকেল আকরিক রফতানি বন্ধের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির বিনিয়োগ সমন্বয় বোর্ডের সভাপতি বাহলিল লাহাদালিয়া একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া যত দ্রুত সম্ভব ব্যবহারিক ধাতুটির রফতানি বন্ধ করে দেবে। যদিও গত মাসে দেশটির সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছিল, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিকেল আকরিক  রফতানি বন্ধ রাখা হবে। খবর রয়টার্স মাইনিংডটকম।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়া ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে দুই বছরের জন্য নিকেল  আকরিক রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। ঘোষণার এক মাস না পেরোতেই দেশটি জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ঘোষণা কার্যকর করা হবে। বাহলিল লাহাদালিয়া বলেন, সরকার নিকেল মাইনার্স সমিতি যত দ্রুত সম্ভব নিকেল আকরিক রফতানি বন্ধে ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং বিষয়ে দেশটির পক্ষ থেকে আর কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে না।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ার ঘোষণার পর পরই আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে নিকেলের দাম। মূলত বৈশ্বিক সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা থেকে নিকেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে নিকেলের দাম আগের তুলনায় ৪০ শতংশের মতো বেড়ে টনপ্রতি ১৭ হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এলএমইর সর্বশেষ কার্যদিবসে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন নিকেল বেচাকেনা হয়েছে ১৬ হাজার ৬৭৫ ডলারে। সেপ্টেম্বরে প্রথম ঘোষণার পর ধাতুটির দাম বেড়ে পাঁচ বছরের সর্বাচ্চে পৌঁছেছিল। ওই সময় ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন নিকেলের দাম উঠেছিল ১৮ হাজার ৮৫০ ডলারে।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ নিকেল আকরিক উত্তোলনকারী দেশ। ২০১৮ সালে ব্যবহারিক ধাতুটির বৈশ্বিক সরবরাহের ২৬ শতাংশ দেশটি এককভাবে জোগান দিয়েছে। 

মূলত ধাতব আকরিক রফতানি বন্ধ করে খনিজ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চেষ্টা করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। বাহলিল লাহাদালিয়া জানান, আকরিক রফতানি বন্ধ করে স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়াকরণের চেষ্টা করবে দেশটি। কারণ কাঁচামাল রফতানিতে আয় কম হয়, এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটি। আকরিক রফতানির পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত ধাতু রফতানিতে আয়বৃদ্ধির সঙ্গে দেশটির অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলেও প্রত্যাশা সরকারের। আকরিক নিকেলের পর অন্যান্য ধাতব আকরিক যেমন বক্সাইট তামার কনসেন্ট্রেট রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা আনার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির সরকারের।

ইন্দোনেশিয়া এরই মধ্যে স্মেলটার (যেখানে আকরিক নিষ্কাশণ করা হয়) উন্নয়নে হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। দেশটিতে ১৪টি স্মেলটার রয়েছে এবং আরো ২৭টি নির্মাণাধীন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন