ব্যবসার পরিবেশে দুর্বলতা সত্ত্বেও বিনিয়োগ থেকে ঈর্ষণীয় আয় বহুজাতিক কোম্পানির

মেহেদী হাসান রাহাত

দেশে ব্যবসা শুরু করতে সময় লাগে সাড়ে ১৯ দিন। বিদ্যুৎ পেতেও গড়ে ১২৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়। আইনকানুনের জটিলতায় সম্পত্তি নিবন্ধন থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক বিরোধ নিষ্পত্তিতে লম্বা সময় চলে যায়। এসব কারণে ব্যবসার পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশ এখনো নিচের সারিতে। তা সত্ত্বেও বিনিয়োগ থেকে ঈর্ষণীয় আয় করছে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী বহুজাতিক বড় কোম্পানিগুলো।

প্রতিষ্ঠানের আর্থিক পারফরম্যান্স পরিমাপের অন্যতম মাপকাঠি রিটার্ন অন ইকুইটি (আরওই) বা শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের বিপরীতে আয়। এর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান তার শেয়ারহোল্ডারদের অর্থ কতটা দক্ষতার সঙ্গে বিনিয়োগ করে সর্বোচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করতে পারছে, সেটি বোঝা যায়। দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আরওই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রিটার্ন অন ইকুইটির হার বিবেচনায় উপরের দিকে থাকা বেশির ভাগ কোম্পানিই বহুজাতিক।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১৯টি কোম্পানির রিটার্ন অন ইকুইটির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, শীর্ষ ২০ কোম্পানির মধ্যে সাতটিই বহুজাতিক। এগুলো হচ্ছে ম্যারিকো বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, গ্রামীণফোন, জিএসকে বাংলাদেশ, সিঙ্গার বাংলাদেশ, লিন্ডে বাংলাদেশ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ।

১৬১ দশমিক ২৬ শতাংশ রিটার্ন অন ইকুইটি নিয়ে সবার উপরে আছে এফএমসিজি খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড। ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানিটির বিশ্বের ২৫টি দেশে কার্যক্রম রয়েছে। গ্রুপটির টার্নওভারের ২২ শতাংশই আসে ভারতের বাইরে থেকে। ভারতের বাইরে থেকে আসা টার্নওভারের ৪৬ শতাংশই আবার বাংলাদেশে। ম্যারিকো ইন্টারন্যাশনালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির বৈশ্বিক রিটার্ন অন ইকুইটি ৩৪ শতাংশ।

১৫২ দশমিক ৪৭ শতাংশ রিটার্ন অন ইকুইটি নিয়ে ম্যারিকো বাংলাদেশের পরই আছে আরেক বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির রিটার্ন অন ইকুইটির বৈশ্বিক গড় যেখানে ১৪ শতাংশ।

১০৬ দশমিক ৩২ শতাংশ রিটার্ন অন ইকুইটির ভিত্তিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে টেলিকম খাতের বহুজাতিক জায়ান্ট গ্রামীণফোন লিমিটেড। গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান টেলিনরের নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান মিয়ানমারে ব্যবসা রয়েছে। বছরের ৩০ জুন শেষে টেলিনরের সমন্বিত রিটার্ন অন ইকুইটি ছিল ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৮ সালে ফিনল্যান্ডের ডিএনএর আরওই ছিল ১৬ দশমিক শতাংশ থাইল্যান্ডের ডিট্যাকের আরওই ছিল ঋণাত্মক ২০ শতাংশ। থাইল্যান্ডে কোম্পানিটি গত বছর পরিচালন লোকসানে ছিল। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে গ্রামীণফোনের

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন