কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য ইঞ্জিনিয়ার কোরের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। নাটোরের কাদিরাবাদের ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গতকাল সেনাবাহিনী প্রধানকে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সপ্তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত করার পর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে আহ্বান জানান তিনি।

কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের জ্যেষ্ঠ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক জ্যেষ্ঠ সুবেদার মেজর অনারারি ক্যাপ্টেন রশিদ সেনাবাহিনী প্রধানকে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের কর্নেল কমান্ড্যান্ট র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। এরপর তিনি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্যদের উদ্দেশে দরবার গ্রহণ করেন। দরবার শেষে কর্নেল কমান্ড্যান্ট কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত অধিনায়কদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ইতিহাস ঐতিহ্যময় বীরত্বগাথায় সমুজ্জ্বল। স্বাধীনতার পর কতিপয় অফিসার সৈনিক নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের আত্মত্যাগের গৌরবে গৌরবান্বিত কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের যাত্রা হয়। স্বাধীন দেশে স্যাপার্সের কোনো ইউনিট ছিল না, কোনো সেন্টার বা রেকর্ড ছিল না। পাকিস্তানিদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বেশির ভাগ কর্মকর্তা সৈনিককে অন্তরীণ রাখা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী কমান্ড কর্তৃক প্রদত্ত এক সমনে স্যাপার্স কর্মকর্তারা ঢাকায় একত্র হন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম এক ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ব্যাটালিয়নের ফিল্ড কোম্পানিগুলোকে একেকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাটালিয়নে রূপান্তর করা হয়। এছাড়া সদরঘাটের ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিকে ঢেলে সাজিয়ে রিভার সাপোর্ট ইউনিট নামে পুনর্গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোর আপন মহিমা, স্বকীয়তা বৈশিষ্ট্যে এরই মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছে। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় ক্রমাগত উন্নতির সোপানে আরোহণ করে চলছে এবং সেনাবাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশ গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

দেশ গঠনে কোর অব

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন