ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচে উত্তেজনা ছিল প্রত্যাশার মাত্রা ছাড়ানো! দুই দফায় পিছিয়ে পড়েও গোকুলাম কেরালা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে নাম লেখাল চট্টগ্রাম আবাহনী।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলের সমতা ছিল। ১০৫ মিনিটে ভাগ্য নির্ধারণী গোল করেন নাইজেরিয়ান চিনেদু ম্যাথিউ। দুই দলের পাঁচটি গোলই করেন বিদেশী ফুটবলাররা। ম্যাথিউ ছাড়া আবাহনীর দুই গোল করেন আইভরি কোস্টের চার্লস দিদিয়ের। গোকুলামের উগান্ডার ফরোয়ার্ড হেনরি কিসিক্কা ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর মার্কাস জোসেফ গোল করেন।
প্রতিপক্ষ প্লে-মেকার নাথানিয়েল গার্সিয়াকে বিকল করতে এদিন চিনেদু ম্যাথিউকে নিয়োগ করেন মারুফুল হক। এ ফরোয়ার্ড কখনো আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার, কখনো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকায় ছিলেন। ৪-৩-২-১ ফরমেশনে আক্রমণভাগের দায়িত্ব ছিল মন্টেনেগ্রোর ফরোয়ার্ড রকতোভিচ লুকার ওপর। কিন্তু ৩১ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে সহজ ম্যাচটা কঠিন করে তোলেন।
প্রতিপক্ষের ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ডিফেন্ডার আন্দ্রে ডেনিস ম্যাচের শুরু থেকে লুকাকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন। ওয়ান-বাই-ওয়ান পজিশনে বারবার এ ডিফেন্ডারের কাছে হার মানেন প্রথম দুই ম্যাচে গোল করা লুকা। ম্যাচে দুই দফা পিছিয়ে গেলেও একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করে গেছে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
স্কোরলাইন ১-২ হয়ে যাওয়ার পর ৮৫ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনেন মারুফুল হক। আরিফুল ইসলাম ও লুকাকে তুলে সোহেল রানা ও কাওসার আলী রাব্বিকে মাঠে পাঠান এ কোচ। ওটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। চট্টগ্রাম আবাহনীর দুই গোলের নেপথ্য কারিগর ছিলেন কাওসার আলী রাব্বি।
৬ মিনিটে ডান দিক থেকে চিনেদু ম্যাথিউর কাটব্যাকে পা ছোঁয়াতে পারেননি আরিফুল। ২১ মিনিটে আরিফুলের সঙ্গে ওয়ান-টু-পাস খেলে গোলমুখ খুলে নিয়েও ভারসাম্য হারান লুকা। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ইয়াসিন আরাফাতের কাটব্যাক থেকে দুর্বল শটে ভালো সম্ভাবনা নষ্ট করেন লুকা। ২৪ মিনিটে জিনেদু ম্যাথিউ বল নিয়ে দ্রুত বক্সে প্রবেশ করলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। এক মিনিটের মধ্যেই বাইরে শট নিয়ে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন লুকা।
২৯ মিনিটে প্রথমার্ধে পাওয়া একমাত্র সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় গোকুলাম। অধিনায়ক মার্কাস জোসেফের বাড়ানো বল ধরে মার্কার ইকবল জনকে ছিটকে দেন হেনরি কিসিক্কা; রিয়াদুল হাসান রাফি স্লাইডিং ট্যাকল