খেলা

 জাতীয় লিগে বেশ চাপে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি এখন হারের মুখে। নাটকীয় কিছু না হলে কক্সবাজারে হয়তো হারতে হবে দলটিকে। প্রথম স্তরে খুলনা ও ঢাকার ম্যাচটির অবস্থা এখন সমানে সমান। যেখানে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আলো ছড়িয়েছেন এনামুল হক বিজয়। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা বিজয় দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত আছেন অর্ধশত রান করে। দ্বিতীয় স্তরে ইফরান হোসেনের দারুণ বোলিংয়ের পর সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পিনাক ঘোষ।

রংপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ ভুগছে রাজশাহী। দারুণ কিছু করে দেখাতে না পারলে চ্যাম্পিয়নদের হার এড়ানো কঠিনই হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫৬ রানের লিড নিলেও হাতে আছে মাত্র ৪ উইকেট। ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিন তাই কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে রাজশাহীর সামনে। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীর সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৯।

এদিন মূলত সোহরাওয়ার্দী শুভ, মাহমুদুল হাসান ও তানভীর হায়দারের ঘূর্ণি তোপে পড়ে রাজশাহী। তিনজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। মুখতার অপরাজিত আছেন ১৯ রানে ও সানজামুল উইকেটে আছেন ২ রান নিয়ে। এর আগে প্রথম ইনিংসে রংপুর অলআউট হয় ২৭৫ রান করে। আগের দিন ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকা নাসির করেন ৬২ রান।

প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে বড় লিডের পথে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা। প্রথম ইনিংসে ৩৭১ রান করা খুলনা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২ উইকেটে ১৪৫। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ঢাকা গুটিয়ে যায় ৩১৬ রানে। সব মিলিয়ে খুলনার লিড এখন ৮ উইকেট হাতে রেখে ২০০ রান। চতুর্থ দিন লিড আরেকটু বাড়িয়ে নিয়ে হয়তো জয়ের চেষ্টা করবে তারা।

দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা ৫ রানে হারায় রবিউল ইসলাম রবির উইকেট। কোনো রান করতে পারেননি এ ওপেনার। এরপর দলকে ১১১ রানে নিয়ে যান এনামুল হক বিজয় ও ইমরান উজ জামান। ৬৬ রান করে ফিরে যান ইমরান। তবে আগের ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান বিজয় অপরাজিত আছেন ৬১ রানে। তুষার ক্রিজে আছেন ১৬ রান করে।

এর আগে ২ উইকেটে ২০৬ রানে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা থামে ৩১৬ রানে। রনি তালুকদার ৭৩ ও ৭২ রান করেন সাইফ হাসান।

দ্বিতীয় স্তরের দুটি ম্যাচে আগের দুদিনের খেলা