মাত্র ৪৮ সেকেন্ডের মাঝে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া। পেছনে থেকেই বিরতিতে যাওয়া। মনে হচ্ছিল টটেনহাম হয়তো অ্যানফিল্ডে মাটিতে নামাবে লিভারপুলকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই ঘুরে দাঁড়াল ‘অল রেড’রা। গোল করলেন জর্ডান হেন্ডারসন ও মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুলও পেয়ে যায় চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচে নবম জয়টি। পাশাপাশি এ জয়ে অ্যানফিল্ডে নিজেদের অনবদ্য অগ্রযাত্রাকে আরেকটু বাড়িয়ে নিল তারা। লাল দুর্গে ৪৫ ম্যাচ অপরাজিত ইয়ুর্গেন ক্লোপের দল। এ জয়ে ১০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান সংহত করল তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানসিটি পিছিয়ে ৬ পয়েন্টে। এ হারে টেবিলের ১১ নম্বরে আছে টটেনহাম। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২।
অ্যানফিল্ডে তখন কেবল খেলা শুরু হয়েছে। দারুণ এক আক্রমণে লিভারপুল রক্ষণদুর্গে মুসা সিসোকো বল বাড়ান সন হিউং-মিনকে। তার নেয়া শট লিভারপুল ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকসান্দার আর্নল্ডের মাথায় লেগে প্রতিহত হয় ক্রসবারে। আলগা বল চলে আসে হ্যারি কেনের কাছে। নিচু হেডে অ্যালিসনকে বোকা বানিয়ে দলকে আনন্দে ভাসান ইংলিশ অধিনায়ক। পিছিয়ে পড়া লিভারপুল গা ঝাড়া দিয়ে জেগে ওঠে। টটেনহামের ওপর আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় লিভারপুল। পাল্টা আক্রমণে আরো দু-একবার টটেনহাম সুযোগ তৈরি করলেও এ সময়টা ছিল লিভারপুল শো’র। ৬৮ শতাংশ বল দখলে রাখা লিভারপুল শট নিয়েছে ২১টি, ১৩টিই ছিল লক্ষ্যে। টটেনহামের ১১ শটের লক্ষ্যে মাত্র চারটি। টটেনহাম গোলরক্ষক পাউলো গাজ্জানিকা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে প্রথমার্ধেই লিভারপুল একাধিক গোল পেতে পারত। পোস্টের নিচে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেন গাজ্জানিকা। শেষ পর্যন্ত দুই গোল হজম করলেও সব মিলিয়ে তিনি গোল বাঁচিয়েছেন ১২টি, যা ২০১৪ সালে আর্সেনালের বিপক্ষে ডেভিড গিয়ার ১৪ গোল বাঁচানোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৫২ মিনিটে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক হেন্ডারসন। ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে লিভারপুলকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন সালাহ।
একই রাতে আট মাস পর অ্যাওয়েতে জিতল ম্যানইউ। ম্যাচে দুবার পেনাল্টি মিস করেও ‘রেড ডেভিল’দের জয় ৩-১ গোলে। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের জালে আটকা পড়ে গেছে আর্সেনাল। নিজেদের মাঠে ৯ মিনিটে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে গানাররা।
লিগ ওয়ানে মাউরো ইকার্দি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে মার্শেইকে