বটলিং প্লান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল

আইপিওর টাকায় সিলিন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা কিনবে ইন্ট্রাকো

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত বছর ফিক্সড প্রাইস (স্থির মূল্য) পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড তাদের আইপিও তহবিলের অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তহবিলের অংশবিশেষ দিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় একটি বটলিং প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা ছিল ইন্ট্রাকোর। তবে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পরিকল্পনা থেকে সরে এসে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় সদ্য স্থাপিত একটি এলপিএফ সিলিন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি কিনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে কোম্পানিটিকে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে।

সূত্র অনুযায়ী, ইন্ট্রাকো যে ফ্যাক্টরিটি কিনতে চাইছে, তা ৪০ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর স্থাপিত একটি কারখানা। ইস্পাত নির্মিত কারখানা ভবনে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার উৎপাদনের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। কারখানাটি কিনতে ইন্ট্রাকোর খরচ হবে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পর্ষদ ধারণা করছে, পতেঙ্গায় বটলিং প্লান্ট স্থাপনের চেয়ে কুমিল্লার কারখানাটি কিনে নেয়াই কোম্পানির জন্য বেশি লাভজনক প্রকল্প হবে।

এদিকে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ইন্ট্রাকোর পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা পয়সা। ৩০ জুন সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯১ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১২ টাকা ৮৪ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শতাংশ নগদের পাশাপাশি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ইন্ট্রাকো।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত ইন্ট্রাকো কনভেনশন হলে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। -সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ নভেম্বর।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মার্চে আইপিওর চাঁদা গ্রহণ করে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। অভিহিত মূল্যে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করে কোম্পানিটি। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইপিও তহবিলের অর্থ ব্যয় করতে পারেনি তারা। গত বছরের ১৭ মে আইপিওর অর্থ হাতে পায় ইন্ট্রাকো। প্রসপেক্টাস অনুসারে, আইপিও তহবিলের অর্থ হাতে পাওয়ার ১৫ মাসের মধ্যে পুরো অর্থ ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা কোটি ৮৬ লাখ ৫২ হাজার ৩৬৭ টাকা ব্যয় করেছে। অব্যবহূত রয়েছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৩ টাকা বা ৭৭ দশমিক ১২ শতাংশ অর্থ।

প্রসপেক্টাসে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ৩০ কোটি টাকার মধ্যে ফ্যাক্টরি শেড, স্টোর রুম অফিস বিল্ডিং নির্মাণ বাবদ কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা; সাবস্টেশন, ইলেকট্রিক ওয়ার্ক জেনারেটর স্থাপন বাবদ ৭১ লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা; এলপিজি স্যাটেলাইট প্লান্ট স্থাপনের জন্য কোটি ৭৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা; সিলিন্ডার, রোড ট্যাংকার, মুভার, ওয়েটিং ব্রিজ ট্রাক ক্রয়ের জন্য ১৫ কোটি ৭৪ লাখ হাজার টাকা; ফ্রেইট অন্যান্য চার্জ বাবদ ৫০ লাখ টাকা এবং আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ বাবদ কোটি লাখ টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনার কথা জানায় কোম্পানিটি।

এখন পর্যন্ত ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের মূল ব্যবসা সিএনজি রিফুয়েলিং। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে মূল কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন