কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়ক

একবছরে ৫২ কিলোমিটারে ৬৩ দুর্ঘটনা, নিহত ৭০

মুশফিকুর রহমান কিশোরগঞ্জ

সড়কপথে কিশোরগঞ্জ সদর থেকে ভৈরব উপজেলার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার, যা কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক নামে পরিচিত সড়কে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত এক বছরে ৬৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এতে প্রাণ হারিয়েছে ৭০ জন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে তথ্য জানা গেছে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালকদের অসচেতনতা যানবাহনের ফিটনেস না থাকার পাশাপাশি অতিরিক্ত বাঁকের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা জানান, সড়কের সব জায়গায় মান এক রকম নয় কোথাও উঁচু-নিচু, কোথাও আবার পার্শ্ব রাস্তা ঠিক নেই এতে সাইড দিতে সমস্যা হয়

সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের জেলা সদরের বড়পুল এলাকা থেকে কটিয়াদী উপজেলা অংশের দূরত্ব প্রায় ২৭ কিলোমিটার মূলত অংশেই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে ২৭ কিলোমিটারে ৪১টি বাঁক আছে এর মধ্যে আবার পুলেরঘাট বাজার থেকে কটিয়াদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারে বাঁক আছে ২৫টি বাঁক বেশি হওয়ায় সচরাচর অংশ দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত এছাড়া বড়পুল এলাকা থেকে কাতিয়ারচর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারে তিনটি, কাতিয়ারচর সেতু থেকে বিন্নাটি মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটারে পাঁচটি এবং বিন্নাটি মোড় থেকে পুলেরঘাট বাজার পর্যন্ত সাত কিলোমিটারে আটটি বাঁক আছে

ব্যাপারে সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম বলেন, অনুমোদিত নকশা মেনেই সড়কের কাজ করা হয় তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাইড সিয়িংয়ের ব্যবস্থা, সিগন্যাল বাড়ানো গতিরোধক তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে

কিশোরগঞ্জের বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, আমাদের যা করণীয়, আমরা তা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি আমাদের বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আশা করি সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ কমে যাবে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন