আরবে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক শ্লথগতি

বণিক বার্তা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, বেকারত্ব অর্থনীতির শ্লথ প্রবৃদ্ধির জেরে আরব বিশ্বের বহু দেশে সামাজিক অস্থিরতা অসন্তোষ বাড়ছে। খবর এএফপি।

রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে আইএমএফ বলছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা, জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতা ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতা মধ্যপ্রাচ্য উত্তর আফ্রিকা (মিনা) অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ করতে ভূমিকা রাখছে।

চলতি মাসের শুরুতে সংস্থাটি অঞ্চলের (আরব দেশগুলো ইরান) চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অঞ্চলটির প্রবৃদ্ধি গত বছরের দশমিক শতাংশ থেকে কমে চলতি বছর হবে শূন্য দশমিক শতাংশ।

অঞ্চলের সবচেয়ে বড় তিন অর্থনীতি সৌদি আরব, ইরান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বড় আকারে কমিয়েছে আইএমএফ।

গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে আইএমএফ বলছে, চলতি মাসের শুরুতে যে ঝুঁকিগুলোর কথা বলা হয়েছিল, সেগুলোর মাত্রা আরো বেড়েছে এবং এগুলো বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর উচ্চমাত্রায় নির্ভরশীল।

মধ্যপ্রাচ্য সেন্ট্রাল এশিয়ার জন্য আইএমএফের পরিচালক জিহাদ আজুর বলেন, বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করার জন্য অঞ্চলের দেশগুলোর যে ধরনের প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন, বর্তমানে তার চেয়ে বেশ কম হচ্ছে।

এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে আজুর বলেন, আমরা এমন একটি অঞ্চলের কথা বলছি, যেখানে তরুণ বেকারত্বের হার ২৫-৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি সামলানোর জন্য থেকে শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন।

আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেকারত্বের উচ্চহার আরব দেশগুলোয় সামাজিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। অঞ্চলের বেকারত্বের গড় হার ১১ শতাংশ, যেখানে অন্য উদীয়মান বাজার উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোতে গড় হার শতাংশ। আরব অঞ্চলে, বিশেষ করে নারী তরুণ শ্রেণী কাজ পাচ্ছে না। ২০১৮ সালে ১৮ শতাংশের বেশি নারী কাজের বাইরে ছিল।

২০১০ সালের শুরুর পর থেকে আরবের বেশকিছু দেশে সহিংস বিক্ষোভ চলে আসছে এবং সিরিয়া, ইয়েমেন লিবিয়ায় বিক্ষোভ রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধে পরিণত হয়েছে।

গত বছর পুরোটা সময় আলজেরিয়া, ইরাক লেবাননে নতুন করে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা অর্থনৈতিক সংস্কার দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেছে।

আজুর জানান, পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে লেবাননে। বিক্ষোভের কারণে দেশটির অর্থনীতি এক ধরনের থমকে দাঁড়িয়েছে। লেবাননের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে।

তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাধানে সরকারকে দৃঢ় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে আস্থা আবার ফিরে আসে।

আইএমএফ আরো বলছে, আরবের অনেক দেশে সরকারি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি, গড়ে জিডিপির ৮৫ শতাংশের বেশি এবং লেবানন সুদানের জিডিপির ১৫০ শতাংশের বেশি।

সংস্থাটি বলছে, বহু বছর ধরে সরকারি ঋণের বোঝা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যার ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগ, যা অঞ্চলটির দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপাকে থাকা ইরান মারাত্মক অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে এবং ক্রমেই পেঁচিয়ে ওঠা মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে দেশটিকে।

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছর ইরানের অর্থনীতি সংকুচিত হবে দশমিক শতাংশ। ২০১৮ সালে দশমিক শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি করেছিল দেশটি।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান প্রতিদিন মাত্র পাঁচ লাখ ব্যারেল ত্রুড অয়েল রফতানি করতে পারছে, যেখানে নিষেধাজ্ঞার আগে দিনে ২০ লাখ ব্যারেল রফতানি করত।

আইএমএফ বলছে, জ্বালানি তেলের কম

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন