শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সেশেলসের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের দক্ষ ও যোগ্য কর্মীরা স্বল্প খরচেই সেশেলস যেতে পারবেন। একই সঙ্গে সেশেলসে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে। গতকাল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ইমরান আহমদ বলেন, পূর্ব
আফ্রিকার পর্যটনসমৃদ্ধ দ্বীপরাষ্ট্র সেশেলসের সঙ্গে শ্রম সহযোগিতা চুক্তি (এএলসি) স্বাক্ষর
হয়েছে। এ চুক্তির ফলে দ্বীপ দেশটিতে বাংলাদেশের বেশকিছু কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা
তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সেশেলসে কর্মী পাঠাতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগবে না।
সরকারিভাবে খুবই কম খরচে এ দেশে শ্রমিক যেতে পারবেন। তবে কী পরিমাণ শ্রমিক যাবেন, সেটা
নির্ধারণ হবে তাদের চাহিদার ওপর। সেশেলসে শুধু সরকারিভাবে কর্মী যেতে পারবে।
বেসরকারি কোনো এজেন্ট সেশেলসে কর্মী পাঠাতে পারবে না। সেজন্যই যারা ওই দেশে যেতে
ইচ্ছুক, তারা কোনো এজেন্টকে টাকা দেবেন না।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সেশেলসে
বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত। এ দেশে নির্মাণ শিল্পে অধিকাংশ
কর্মী কাজ করেন। এছাড়া হোটেল,
ট্যুরিজম,
স্বাস্থ্যসেবা, হাউজ কিপিং, কুক, ভিলা
অ্যাটেনডেন্ট, কৃষি ও পোলট্রি খামার ছাড়াও বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশী কর্মী রয়েছেন।
এছাড়া ফিশিং ও ফিশ ইন্ডাস্ট্রিজ,
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ট্যুরিজম খাতে বাংলাদেশী
কর্মীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে দেশটিতে।
ইমরান আহমদ বলেন, বাংলাদেশের
জন্য সেশেলসের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় কর্মী
পাঠানো সম্ভব হবে এবং উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। পাশাপাশি দুই দেশের
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। এছাড়া বাংলাদেশী কর্মীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট
বিষয় ও অধিকার সুরক্ষিত হবে।