ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদ ও ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গতকাল বিকালে গুলশান ২ নম্বর সেকশনের ৫৭ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে এ অভিযান চালান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, একটি
ভবনের ছাদের এক কোণে ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও সিসা বার এবং আরেক ভবনের চারতলার একটি
কক্ষে বিপুল পরিমাণ মদ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় দুই তত্ত্বাবধায়ক মো. পারভেজ
ও নবীন মণ্ডলকে আটক করেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা এগুলো পরিচালনা
করতেন বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অভিযানে অংশ নেয়া মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোর রমনা অঞ্চলের পরিদর্শক একেএম কামরুল ইসলাম বলেন, গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাসা থেকে ৬০০
বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশী মদ,
ক্যাসিনো সরঞ্জাম, দুটি জুয়ার বোর্ড, পাঁচ
কেজি সিসা ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বাসা থেকে দুজনকে আটক
করা হয়েছে। তবে অভিযানের সময় আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওই বাসায় ছিলেন না।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আজিজ
মোহাম্মদ ভাই চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেই বেশি পরিচিত। অলিম্পিকের পাশাপাশি অ্যামবি
ফার্মাসিউটিক্যালসেরও চেয়ারম্যান তিনি।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গুলশানের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক নবীন জানান, সাত-আট বছর ধরে তিনি এখানে কাজ করলেও আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে কখনো দেখেননি। দুটি ভবনের মধ্যে একটি ভবনের চারতলার ফ্ল্যাট আজিজের স্ত্রী নওরীন ব্যবহার করেন।
এক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদের বাড়িতে
যোগদানের কথা জানান আরেক তত্ত্বাবধায়ক পারভেজ। তিনি জানান, ভবনের
পাঁচ ও ছয়তলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের দুই বোন সখিনা মীর আলী ও নুরজাহান হুদা বসবাস
করেন। দোতলা ও তৃতীয় তলায় বোনের সন্তানরা বসবাস করেন।
এ ভবনের চারতলার এক পাশের ফ্ল্যাটের
একটি কক্ষে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ মদ। ওই ফ্ল্যাটের অন্য কক্ষগুলো ছিল খালি। যে
কক্ষে মদ পাওয়া গেছে, সেই কক্ষের দিকে যাওয়া তাদের বারণ ছিল বলে জানান পারভেজ।