ভোলার দুর্গম চরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ভোলা

ভোলার মনপুরায় দুর্গম চর এলাকা দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার স্পিডবোটে করে চরফ্যাশন থেকে মনপুরা যাওয়ার পথে চর পিয়ালে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় তিনি ওইদিন রাতেই ছয়জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেন।

আসামিরা হলেন সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্পিডবোটের মালিক নজরুল ইসলাম (৩০), মো. বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাশেদ পালোয়ান (২৫), মো. শাহীন খান (২২) ও মো. কিরন (২৬)। এছাড়া ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে স্পিডবোটের চালক মো. রিয়াজকেও আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরের দিকে চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচার থেকে মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়ার উদ্দেশে রওনা হয় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ। বেতুয়া লঞ্চঘাট এসে তিনি জানতে পারেন, ১০ মিনিট আগেই মনপুরার লঞ্চটি ছেড়ে দিয়েছে। পরে তিনি তার আড়াই বছরের সন্তানকে নিয়ে মনপুরার জনতা বাজারগামী স্পিডবোটে ওঠেন। তখন ওই স্পিডবোটে দুই যাত্রী ওঠে। জনতার খালের পাড় থেকে ওঠে আরো দুজন। তারাই চালককে জোর করে স্পিডবোটটি চরপিয়ালে নিয়ে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে স্পিডবোটের মালিক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর তিনিও ওই গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ করেন। একই সঙ্গে তিনি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন।

দক্ষিণ সাকুচিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল বলেন, চরপিয়ালের ধর্ষণের ঘটনাটি মোবাইলফোনে চরের রাখালরা আমাকে জানায়। তাকে উদ্ধার করে মনপুরা জনতা বাজার ঘাটে এনে বিষয়টি থানার ওসিকে জানানো হয়। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন