বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের লাইফলাইন চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ চট্টগ্রামের দিকে তাকিয়ে আছে। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। গতকাল নগরের আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট ফেয়ার (বিআইটিএফ) উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে।
ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী
বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায় পূর্বভারতের পাঁচ কোটি মানুষ। তাদের
১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যেতে হয় কলকাতা বন্দরে। চট্টগ্রাম বন্দর হলে সে
পথ অর্ধেকে দাঁড়াবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে,
বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে।
মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যে
বসতি লক্ষ্মী কথাটা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি। এখন শুনি প্রচারেই প্রসার। এ দুটির
মেলবন্ধন হচ্ছে চট্টগ্রাম। তিনি বলেন,
আমি ২৫ বছর ধরে
তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। ৪৫
বছর ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ৫৩ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমি ও বাবা
মুক্তিযোদ্ধা। এটি আমার জন্য গৌরবের। ১০ মাসে ২৫-৩০টি দেশ ঘুরেছি। সবার প্রশ্ন
বাংলাদেশের উন্নতির চাবিকাঠি কী?
২০২১ সাল হবে আমাদের মাইলস্টোন। ৬০ বিলিয়ন ডলার
রফতানি টার্গেট।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, এ মেলার মাধ্যমে নগরে বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হবে। দেশ এগিয়ে চলেছে, এটিই বাস্তবতা। ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির মূল শর্ত আইন-শৃঙ্খলা। হোলি আর্টিজান, শোলাকিয়ার মতো আরেকটি ঘটনা ঘটলে জাপানিসহ বিদেশীরা মুখ ফিরিয়ে নিত। অনেক পুলিশ সদস্য জীবন দিয়ে অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করেছে।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমসিসিআই সভাপতি
ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিএসসিসিআই
সহসভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী,
আবদুস সামাদ লাভু, মেলা কমিটির আহ্বায়ক আমিনুজ্জামান
ভুঁঁইয়া। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কোহিনূর শাকি ও বিশ্বজিৎ পাল। এবার টিকিটের
মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।