ক্যান্টন ফেয়ারের ১২৬তম আসর

প্রাধান্য পাচ্ছে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ পরিকল্পনা

ফায়সাল করিম চীন থেকে

চীনে চলছে ক্যান্টন ফেয়ারের ১২৬তম আসর। মেলার চলমান আসরেও ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট মহাপরিকল্পনার দেশগুলো ব্যাপক প্রাধান্য পাচ্ছে। এ আসরে পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে তাদের ২১টি দেশের ৩৬৭টি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। এবার মেলায় সাড়ে ৬০০ বিদেশী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে, যার ৬০ শতাংশই মহাপরিকল্পনার দেশগুলো থেকে আসা। এদিকে গেল আসরগুলোর মতো এবারো ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট মহাপরিকল্পনার দেশগুলো থেকে লাখখানেক ক্রেতার সমাগম ঘটতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ মহাপরিকল্পনার অন্তত ২৫টি দেশের ক্রেতারা ভিড় করবেন।

মেলায় গিয়ে দেখা গেল, আগের কয়েকটি আসরের মতো বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন অনেক ক্রেতা। মেলায় প্রথম ধাপ থেকেই এবার বাংলাদেশীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এদের মধ্যে পুরনো ব্যবসায়ী যেমন আছেন, তেমনি এসেছেন তরুণ উদ্যোক্তা ও নতুন ব্যবসায়ী। মেলার দ্বিতীয় ধাপে হোম ডেকোর প্রদর্শনী অংশে কথা হলো চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী কেএম মেজবাহ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, মূলত আমদানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হলেও ক্যান্টন ফেয়ারে এসেছেন ঘরসজ্জায় ব্যবহূত বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে ধারণা পেতে। বললেন, অনেক বছর ধরে হোম ডেকোর ও ইন্টেরিয়র পণ্য নিয়ে নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা থাকলেও সময় ও সুযোগের অভাবে তা হয়ে ওঠেনি। তবে ক্যান্টন ফেয়ারে এসে খুব অল্প সময়ে এবার নানা ধরনের হোম ডেকোর পণ্য দেখার সুযোগ হয়েছে, যা আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করবে।

মেলায় চীনের শিয়ামেন নিউসান কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক কেইট লি জানান, তার প্রতিষ্ঠান মূলত খেলনা উৎপাদন করে। তবে নতুন বৈশ্বিক বাণিজ্যের বাস্তবতার সঙ্গে তাদের লড়াই করে সামঞ্জস্য রাখতে হচ্ছে। এবার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড থেকে ছোট ছোট অনেক অর্ডার পেয়েছেন, যা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় রফতানি আদেশ না পাওয়ার ধাক্কা সামলে উঠতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন