ঐতিহাসিক চরিত্র পদ্মাবতীর পর এবার পৌরাণিক চরিত্র ‘দ্রৌপদী’তে অভিনয় করবেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।
শুধু তা-ই নয়, অভিনয়ের পাশাপাশি মহাভারত ছবিটির
সহপ্রযোজনাও করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ছবিটির বিশেষ ব্যাপার হলো, দ্রৌপদীর দৃষ্টিকোণ থেকেই তৈরি হচ্ছে মহাভারত।
কয়েক সপ্তাহ আগে দ্য প্রিন্টস অব দ্য কাফ নামের একটি অনুষ্ঠানে দীপিকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পৌরাণিক চরিত্র নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন কিনা।
উত্তরে তিনি নিজের জায়গা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন।
তিনি বলেন, মানুষ মহাভারতকে জানে তার পৌরাণিক কাহিনী ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের জন্য।
এ মহাকাব্য থেকে আমরা জীবনদর্শনের নানা পাঠ নিই।
কিন্তু সেটার অধিকাংশই পুরুষকেন্দ্রিক।
এজন্য মহাভারতের গল্পে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এ নতুন দৃষ্টিকোণ কেবল আকর্ষণীয় নয়, তাত্পর্যপূর্ণও হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সর্বদা একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে খাওয়ানো হয়েছে।
এটা পৌরাণিক কাহিনীর নারী দৃষ্টিভঙ্গি।
আমার মনে হয়, এখনই এটা করার সঠিক সময়।
মহাভারত ছবিটি প্রযোজনা করছেন মধু মন্টেনা।
আর ছপক ছবি দিয়েই প্রযোজনায় হাতেখড়ি দীপিকার।
ছবিটি অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবন নিয়ে তৈরি।
এরপর এ মহাভারতই হতে যাচ্ছে দীপিকার দ্বিতীয় প্রযোজনা।
দ্রৌপদীর চোখে কেমন এ পৌরাণগাথা, তাই বলবে দীপিকার মহাভারত।
তার উত্তেজনা শেয়ার করে দীপিকা মুম্বাই মিররকে বলেন, দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আমি খুবই রোমাঞ্চিত ও গর্বিত।
আমি সত্যি বিশ্বাস করি, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা চরিত্র হবে।
ছবিটির প্রযোজক মধু মন্টেনা বলেন, আমরা সবাই মহাভারতের সবকিছু জানি।
কিন্তু আমাদের ছবির স্বাতন্ত্র্য হলো, আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নায়িকা দ্রোপদীর দৃষ্টিকোণ থেকে নির্মিত হবে।
দীপিকা পাড়ুকোন কেবল আজকের দিনে সবচেয়ে বড় ভারতীয় অভিনেত্রীই নন, দেশের বাইরেও তিনি সমান জনপ্রিয়।
এ চরিত্রের জন্য যদি তাকে পাওয়া না যেত, তবে ছবিটিকে এত উচ্চাভিলাষী স্কেলে তৈরি করতাম না।
কয়েকটি কিস্তিতে ছবিটির পুরো গল্প তুলে ধরা হবে এবং প্রথম কিস্তি মুক্তি পাবে ২০২১ সালের দিওয়ালিতে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল মহাভারতের ওপর ওয়েব সিরিজ তৈরি হতে চলেছে।
আমির খান নাকি কৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করবেন।
এদিকে মেঘনা গুলজারের ছপক মুক্তি পাচ্ছে জানুয়ারিতে।
তারপরই কাজ শুরু হবে মহাভারতের।
সূত্র : ডিএনএ