সময় এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার

এম রিয়াজুল করিম। এক বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করছেন প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের এমডি সিইও পদে। দীর্ঘ ৩৬ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে প্রাইম ব্যাংকের এএমডির দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ করেছেন। প্রিমিয়ার ব্যাংক ঘিরে নিজের ভাবনা ব্যাংকিং খাতের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাছান আদনান

প্রিমিয়ার ব্যাংক একুশে পা দিয়েছে। দীর্ঘ পথচলায় আপনাদের অর্জন কী?

প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২০ বছরের পথচলা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। পথযাত্রার শুরু থেকেই ব্যাংকটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সারথি হয়েছে। অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রিমিয়ার ব্যাংক এক ডজন দেশী আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে আমরা দেশের প্রথম সারির একটি ব্যাংকে পরিণত হতে পেরেছি। আমাদের আমানতের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। শত শত উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সমৃদ্ধিময় এক পথ খুলে দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠার দুই দশকে একটি শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়াতে পেরেছে আমাদের ব্যাংক। গত কয়েক বছরে আমরা সব সূচকেই ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছি। গত তিন বছরে প্রিমিয়ার ব্যাংকের এসব সূচকে ২৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক একসময় সিলেক্টিভ টাইপ ব্যাংকিং করত। কিন্তু দু-তিন বছর ধরে ধারায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্যাংকটিকে গণমানুষের ব্যাংকে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

গণমানুষের ব্যাংক করতে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

প্রিমিয়ার ব্যাংকের সেবার ধরনে ব্যাপক বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। সর্বসাধারণের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। বাড়ানো হচ্ছে ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক। বর্তমানে আমাদের ১১২টি শাখা রয়েছে। চলতি বছর আরো সাতটি নতুন শাখা চালু করব। সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছতে হলে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা সমৃদ্ধ করতে হবে। এজন্য আমরা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা ২০০টি আউটলেট চালু করেছি।

পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য আমরা নতুন শাখার চেয়ে বুথ ব্যাংকিংয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব ব্যাংকিং বুথ থেকে সব ধরনের সেবা দেয়া হচ্ছে। মাত্র দুজন কর্মকর্তা দিয়ে বুথ চালু করা হচ্ছে। হিসাব খোলা, আমানত সংগ্রহ, টাকা জমা উত্তোলন, ঋণ প্রদান থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা বুথ থেকে দেয়া হবে। যেখানে শাখা চালানো অলাভজনক, সেখানে আমরা ব্যাংকিং বুথ স্থাপন করছি। অর্থাৎ, প্রচলিত ধারার চেয়ে বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেলকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। গ্রামীণফোন, রবিসহ বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের গ্রাহক সেন্টারগুলোকে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে সফল হলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের বড় ধরনের সম্প্রসারণ হবে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন