দুই জাহাজের সংঘর্ষ: তেল ছড়িয়ে পড়েছে কর্ণফুলীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

কর্ণফুলী নদীর নম্বর ডলফিন জেটি এলাকায় একটি লাইটার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্য একটি অয়েল ট্যাংকারের সংঘর্ষের পর তেল ছড়িয়েছে নদীতে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে মাঝনদীতে লাইটার জাহাজ সিটি ৩৮-এর ধাক্কায় ফুটো হয়ে যায় অয়েল ট্যাংকার দেশ- এতে অয়েল ট্যাংকারটি থেকে তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

ওই ট্যাংকারে হাজার ২০০ টন ডিজেল ছিল। পদ্মা জেটি থেকে তেল নিয়ে সেটির খুলনা যাওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার পর আট টনের মতো তেল নদীতে চলে যায়। ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তিনজন মাস্টারসহ জাহাজ দুটি আটক করে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরই অয়েল ট্যাংকার থেকে নিঃসরণ হওয়া জ্বালানি তেল নদী থেকে তুলে নেয়ার কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে। বন্দরের বে ক্লিনার- , কাণ্ডারি ১০ ১১ দিয়ে নদীতে নিঃসরণ হওয়া তেল তোলার কাজে নিযুক্ত আছে। ঘটনায় দায়ী জাহাজের মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গতকাল বিকাল পর্যন্ত আট টনের মতো পানিমিশ্রিত তেল নদী থেকে তোলা হয়েছে বলে দাবি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পরপরই তেল অপসারণ শুরু করা হয়েছিল জানিয়ে বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় কাছাকাছি ছিল আমাদের তেল অপসারণকারী জাহাজ বে ক্লিনার-২। তখন জোয়ার-ভাটার মাঝামাঝি সময় ছিল। ফলে সহজেই ছড়িয়ে পড়া তেল স্ক্রিনিং পদ্ধতিতে অপসারণ সম্ভব হয়েছে। এরপর দ্রুততম সময়ে বে ক্লিনার- এবং সাপোর্ট ভেসেল হিসেবে কাণ্ডারি-, ১০ ১১ কাজ শুরু করে।  নদী থেকে আট টন তেল তোলা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে গতকাল দুপুরেও দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় তেল লেগে থাকতে দেখা গেছে। ডলফিন জেটি--এর অদূরে কর্ণফুলীর সঙ্গে সংযুক্ত নম্বর খালের মুখে ভাসমান তেল চোখে পড়েছে।

ওই এলাকা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে মহেশখালের মুখে (ইশান মিস্ত্রির হাটসংলগ্ন) খালপাড়ের ঘাসে গাছপালায় তেল লেগে আছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে তেল ভাসছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলীতে চলাচল করা নৌকার মাঝিরাও।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন