বিসিবির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আগের রাউন্ডে খেলানো হয়নি দুই লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন ও রিশাদ হোসেনকে, যার মূল্য দিতে হয়েছিল ঢাকা ও রংপুরের কোচকে। দুজনকেই বরখাস্ত করা হয়েছে অভিনব এ কারণে। এরপর তৃতীয় রাউন্ডে এ দুই লেগ স্পিনারের মাঠে নামা অবধারিত ছিল। মাঠে নেমে বল হাতে রিশাদ জ্বলে উঠলেও জুবায়ের ছিলেন নিষ্প্রভ। রংপুরের হয়ে রাজশাহীকে একাই ধসিয়ে দেন রিশাদ। নিয়েছেন ৫ উইকেট। ঢাকার লেগি জুবায়ের ছিলেন বেশ খরুচে। একটি উইকেট অবশ্য পেয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ দুটি মাঠে গড়ায়নি বৃষ্টির কারণে।
কক্সবাজারে প্রথম স্তরের ম্যাচে দাপট ছিল বোলারদের। তবে এখানে আলাদাভাবে বলতে হয় রিশাদের কথা। লেগ স্পিনার হিসেবে খেলতে নেমে ৫০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। মাত্র ৯৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। পরে অধিনায়ক ফরহাদ হোসেনের ৬০ রানের ইনিংসটিই বাঁচিয়ে দিয়েছে রাজশাহীকে। অবশ্য জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই রংপুরও। দিন শেষে ৩২ রান যোগ করতেই ২ উইকেট হারিয়েছে তারা।
প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ২৯০/৬। মাত্র ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া খুলনা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বিজয় ও তুষারের ব্যাটে। এ জুটি গিয়ে থামে দলীয় ১৮২ রানে। ৫৫ রান করে আউট তুষার। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান বিজয়। ২০৫ বলে ১১২ রান করেন তিনি। মিঠুন আউট ৪৫ রান করে। উইকেট আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৩০) ও আবদুর রাজ্জাক (৪)।