বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, শূন্য বা ঋণাত্মক সুদহার দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ক্ষতি করতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ক্রমেই সুদহার কমাচ্ছে।
ফলে
‘সস্তা’ অর্থের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তে থাকা আসক্তি ক্রমেই বড় সমস্যা হয়ে উঠছে।
খবর সিএনবিসি।
লি কুয়ান ইয়ো স্কুল অব পাবলিক পলিসির ভিজিটিং স্কলার ইউয়া হেদ্রিক-ওয়াং বলেন, সুদহার শূন্যে নামিয়ে আনার প্রবণতা ‘বিকৃত’ এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ ‘বিষাক্ত’ করতে পারে।
নিম্ন সুদহার ঋণদাতাদের মুনাফা কমিয়ে দেয়, কেননা একটি ব্যাংক যা আয় করতে পারে, তা এটি কমিয়ে দেয়।
একটি ঋণাত্মক সুদহার পরিস্থিতিতে ঋণাত্মক অঞ্চলে সুদহার আরো নামিয়ে আনার অর্থ হলো, নিজেদের শর্তযুক্ত তহবিল ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরো বেশি অর্থ দিতে হচ্ছে ঋণদাতাদের।
গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ফোর্বস গ্লোবাল সিইও কনফারেন্সে দেয়া বক্তব্যে হেদ্রিক-ওয়াং বলেন, আমি শক্তভাবে বিশ্বাস করি যে শূন্য সুদহার বা ঋণাত্মক সুদহার দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব অর্থনীতির বড় ক্ষতি করবে।
শুরুতে শূন্য সুদহার করপোরেট ব্যবসা পরিবেশকে বিষাক্ত করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার সুদহার কমানোর তাগাদা দিয়ে আসছেন।
সেপ্টেম্বরে এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ফেডের উচিত সুদহার শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসা কিংবা সুদহার ঋণাত্মকেও নামিয়ে আনতে পারে।
এমনকি সরকারি বন্ডের ওপর সুদহার ঋণাত্মকে নামিয়ে আনার জন্য জার্মানির প্রশংসাও করেছেন ট্রাম্প।
ইউরোপের ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে ক্রমাগতভাবে নিম্ন সুদহার পরিবেশে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, ২০১২ সালে সুদহার নেমে আসে শূন্যে, এরপর ২০১৪ সালে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেদের সুদহার শূন্যের নিচে নামিয়ে এনেছে এবং ডেনমার্ক, সুইডেন, জাপানসহ বেশকিছু দেশ একই কাজ করেছে।
একটি আলোচনা পর্বে হেদ্রিক-ওয়াং বলেন, আমাদের এ পথ থেকে ফিরে আসতে হবে।
একটি অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুদহার স্বাভাবিক রাখা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
সুদহার শূন্যে না ঋণাত্মকে নামিয়ে আনার মাধ্যমে সস্তা অর্থের প্রতি যে আসক্তি তৈরি করা হচ্ছে, তা একটি সমস্যা; কোনো সমাধান নয়।
তবে এর পরও বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, বৈশ্বিক শ্লথগতির আশঙ্কা এবং ব্রেক্সিট ও বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার কর্তন অব্যাহত রাখবে।
মুডি’স অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক যানদি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয়