টাকার বিনিময়ে বিটিসিএলে নিয়োগ, অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল) নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়--এর সহকারী পরিচালক ফজলুল বারীকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বিটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (নিয়োগ প্রশিক্ষণ) কমলেশ বিশ্বাস, উপমহাব্যবস্থাপক (নিয়োগ) আসিফ রিয়াদ লোদি, কনিষ্ঠ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. মহিউদ্দিন, ওয়ার্কচার্জড কর্মচারী মো. হুমায়ুন কবীরসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের দেয়া অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অভিযোগে বলা হয়েছে, লিখিত মৌখিক পরীক্ষা শেষে যোগ্যদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন বিটিসিএলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সহকারী ব্যবস্থাপক, কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক, কনিষ্ঠ হিসাবরক্ষক, কনিষ্ঠ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কনিষ্ঠ কম্পিউটার অপারেটর পদে প্রায় ২০০ জনকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া কনিষ্ঠ ড্রাইভার, বার্তাবাহক এবং পাম্পচালক পদে নিয়োগেও অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অর্থের বিনিময়ে নিজেদের পছন্দমতো নিয়োগ দিতে প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়নি। নিয়োগে যাচাই করা হয়নি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদও। এতে করে ভুয়া সার্টিফিকেটেও অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন বলে দুদকে দাখিল করা অভিযোগে উঠে এসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে জানান, নিয়োগসংক্রান্ত তথ্যাদি নথি চেয়ে শিগগিরই বিটিসিএলে চিঠি পাঠানো হবে। 

এর আগে ১১ অক্টোবর মতিঝিল মগবাজারে অবস্থিত বিটিসিএল কলোনির বিভিন্ন কোয়ার্টার বেআইনিভাবে দখল করে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে ১১ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বিটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া এসব কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বিটিসিএলের সরকারি কোয়ার্টার বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে অগ্রিম টাকা গ্রহণ এবং প্রতি মাসে ভাড়ার টাকা গ্রহণ, বিটিসিএলের জমিতে বেআইনিভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দেয়া, জোরপূর্বক চাঁদা গ্রহণ, সরকারি কোয়ার্টারে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং একজনের নামে বরাদ্দকৃত কোয়ার্টার বাতিল করিয়ে অন্য একজনের নামে বরাদ্দ করিয়ে দেয়ার কথা বলে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ছিল।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই টেলিযোগাযোগ খাতের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন