চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার দুটি চীনা কোম্পানির কারখানায় তৈরি হচ্ছে আয়রন বোর। ইস্পাত কারখানার আয়রন ডাস্ট (মিলস্কেল) সংগ্রহ করে তার সঙ্গে চুন মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে এ আয়রন বোর তৈরির সময় নির্গত ধোঁয়ায় মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে আশপাশের মানুষ। ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।
জানা গেছে, হাঙ্গা ইন্টারন্যাশনাল কো. লিমিটেড এবং জিন মা (বিডি) ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চীন থেকে পরিচালিত দুটি মিলস্কেল রিসাইক্লিং প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি সীতাকুণ্ডে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্টিল মিল থেকে আয়রন ডাস্ট সংগ্রহ করে। এসব আয়রন ডাস্টের সঙ্গে লাইম বা চুন মেশানো হয়। এরপর মিশ্রণটি মাটির নিচে স্থাপিত চুল্লির ওপর স্তূপাকারে রেখে জ্বালানি হিসেবে কয়লা ও খড় ব্যবহার করে তাপ দেয়া হয়। এভাবেই তৈরি করা আয়রন বোর রফতানি করা হয় চীনে। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে চীন যেখানে নিজ দেশে আয়রন রিসাইক্লিং নিষিদ্ধ করেছে, সেখানে চীনা কোম্পানি দুটি বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ করে আয়রন বোর তৈরি করে চীনে রফতানি করছে। এমনকি কারখানা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ থাকলেও রাতের আঁধারে কাজ চালাচ্ছে তারা।
সীতাকুণ্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুয়েল বলেন, কারখানা দুটির উৎপাদন বন্ধের জন্য আমরা নানা সময় আন্দোলন করেছিলাম। এ কারখানাগুলো থেকে যখন উৎপাদন শুরু করা হয়, তখন চারপাশ কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। নিঃশ্বাস নিতেই কষ্ট হয়। এছাড়া কারখানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাষাবাদও কমে যাচ্ছে। তবে সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা যায় শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে। এজন্য আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি। তারা আমাদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ প্রতিষ্ঠানগুলো আর চালু না হয়, সে দাবি জানাচ্ছি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুটি নিজস্ব জায়গা নিয়ে কারখানা গড়ে তোলেনি। হাঙ্গা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিটি সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সালেহ কার্পেট নামের একটি কারখানার ভেতরে এবং জিন মা (বিডি) ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানটি পাকিজা রোলিং মিলসের ভেতরে গোপনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এ কারখানা দুটির কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, ??
