বরিশাল নগরীর মহাশ্মশানে আজ দীপাবলি উৎসব উদযাপনে সম্পন্ন হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। ভূত চতুর্দশীর পুণ্য তিথিতে এ মহাশ্মশানে প্রায় ২০০ বছর ধরে উৎসবটির আয়োজন করা হচ্ছে। এবার ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাবলয়।
দীপাবলি উৎসব ও মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু বলেন, এ বছর তিথি অনুযায়ী আজ দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে শ্মশান কালী পূজা। এ বছরই প্রথম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনারের উদ্যোগে উৎসব উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে ওই সভায় নিরাপত্তার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানান পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। পাশাপাশি নির্বিঘ্নে এ উৎসব উদযাপনে সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে।
মানিক মুখার্জী কুডু আরো জানান, নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া ও নতুন বাজার এলাকায় ছয় একর জমিতে এ মহাশশ্মানের পত্তন বহু আগে। স্থানীয় জমিদারদের আর্থিক সহায়তায় প্রথম নতুন বাজারে স্থাপিত হলেও পরে এ শ্মশান কাউনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তবে কাউনিয়ায় শ্মশানটির উন্নয়ন হলেও নতুন বাজারে প্রায় এক একর জমি বেদখল হয়ে গেছে। পুরনো শ্মশানের অধিকাংশ সমাধি ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো সেখানে ব্রাহ্মদের দু-তিনটি সমাধি টিকে আছে। টিকে আছে কবি জীবনান্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশ ও পিতামহ সর্বানন্দ দাশের সমাধি। রয়েছে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের সমাধিও। ২০১২ সালে ভারতের কেওড়াতলা মহাশ্মশান থেকে তার চিতাভস্ম এনে এ মহাশ্মশানে সমাধিস্ত করা হয়। এছাড়া এ মহশ্মশানে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিল্পবী দেবেন ঘোষ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী মনোরমা মাসিমা, শিক্ষাবিদ কালি চন্দ্র ঘোষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সমাধি রয়েছে।
মহাশ্মশান কমিটির নেতারা জানান, নতুন-পুরনো মিলিয়ে এখন এ শ্মশানে সমাধি রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। এর মধ্যে এক হাজার সমাধি মঠে সমাধিস্ত ব্যক্তির পরিচয় অজ্ঞাত। তবে এবার প্রথমবারের মতো এসব অজ্ঞাত সমাধি মঠ সংস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব মঠে সমাধিস্ত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে, সেগুলোয় তাদের নাম-পরিচয় খোদাই করা হয়েছে।
তারা আরো জানান, বর্তমানে মহাশ্মশানের উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। শ্মশানের অভ্যন্তরে কালী মন্দির, দুটি গেট ও শিবের মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে। হাজারো সমাধির মাঝ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি সরু রাস্তা। পাশেই তৈরি করা হয়েছে বিশ্রামের জন্য বেঞ্চ।
এখানে মরদেহ দাহ করতে সিটি করপোরেশনকে ৬০ টাকা করে নির্ধারিত হারে ফি দিতে হয়। শ্মশান কমিটিকে দিতে হয় ২ হাজার টাকা। তবে অসমর্থদের