৫০ কেজির বস্তায় ৩০ কেজি চাল দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে কক্সবাজার সদর খাদ্যগুদামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় গুদামটিও সিলগালা করে দেয়া হয়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন জালিয়াতি ও অনিয়মের অন্যতম হোতা উপখাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন সদর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও দারোয়ান মো. রিদওয়ান আলী।
অভিযানকালে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম মাহফুজুর রহমানসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেবদাস চাকমা বলেন, ৫০ কেজির বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে অভিযুক্তরা কীভাবে ও কেমন জালিয়াতি করেছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।
তিনি বলেন, অনেক সময় ভেজা চাল শুকানোর জন্য বস্তা থেকে বের করতে হয়। এ সময় হয়তো কিছু চাল কমে যায়। এজন্য ৫০ কেজির বস্তায় ৩০ কেজি দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাতে অস্ত্র থাকলে যা ইচ্ছা তাই করা যায়। আমাদের তো অস্ত্র নেই। মনে হয় আমাদের কাজকর্মের তথ্যগুলো ভুলভাবে এখানকার কেউ অন্য জায়গায় দিচ্ছে।
খাদ্যগুদামে অভিযানের বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম মাহফুজুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র?্যাবের একটি দল গতকাল দুপুরে কক্সবাজার সদর খাদ্যগুদামে অভিযান চালায়। এ সময় চাল নিয়ে জালিয়াতির বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় গুদাম কর্মকর্তাসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। গুদামটিও সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
ইউএনও বলেন, গুদামটিতে ৫০ কেজির চালের বস্তায় ৩০ কেজি পাওয়া গেছে। তাই খাদ্যগুদামটি সিলগালা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে ২০ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে চাল নিয়ে জালিয়াতিকালে হাতেনাতে দুই শ্রমিককে আটক ও সিলগালা করা হয় ৫ নং গুদামটি।
কক্সবাজার সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার মুক্তার ওইদিনের অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। ওই ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দিতে না দিতেই আবার জালিয়াতি ধরা পড়ল সদর খাদ্যগুদামে।
