ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে জেলা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়। এদিকে এ অনুষ্ঠান ঘিরে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।
সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, দোয়া অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আগে মৌখিকভাবে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে লিখিত আবেদন করা হলে অনুমতি দেয়া হয়নি। তাই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের সঙ্গে আলোচনা করে অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
এদিকে দোয়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ভোলায় গতকাল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সকাল থেকে ভোলা-চরফ্যাশনসহ সব অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল ও নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে সন্ধ্যার পর আবার বাস ও নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিন শহরের বাংলাস্কুল মোড়সহ কয়েকটি এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে আটক করা হয়।
ভোলা বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি রুহুল আমিন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিলাম। তবে সন্ধ্যায় আবার চলাচল শুরু হয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, আমরা সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে আটক করেছি। বড় ধরনের নাশকতা এড়াতে শহরের প্রায় প্রতিটি স্থানেই পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোস্টগার্ড, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্যই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার প্রতিবাদে বোরহানউদ্দিনে তৌহিদী জনতার ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়।