ইনজুরি দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে রেখেছে ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও আতিকুর রহমান ফাহাদকে। তালিকায় আছেন আরেক মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনিও। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক একাধিক প্রতিযোগিতায় দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। ইনজুরি দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ফেরার জন্য তাদের যেন তর সইছে না!
মে মাসের শেষ দিকে এএফসি কাপের প্রস্তুতি পর্বে ইনজুরি আক্রান্ত হন তপু বর্মণ। ৩০ এপ্রিল চেন্নাইয়ান এফসির বিপক্ষে এএফসি কাপের অ্যাওয়ে ম্যাচে চোট পান ফাহাদ। ২৯ আগস্ট জাতীয় দলের ক্যাম্পে সতীর্থ বিশ্বনাথ ঘোষের ট্যাকেলে চোট পান মাশুক মিয়া জনি।
প্রাথমিকভাবে মাশুক মিয়া জনির ইনজুরি গুরুতর মনে হয়নি। ওই অবস্থায় তাজিকিস্তানের দুশানবে যান দলের সঙ্গে। যদিও ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা হয়নি। পরবর্তী সময়ে কাতার ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াডেও রাখা হয়েছিল এ মিডফিল্ডারকে। তিন ফুটবলারেরই অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। ফাহাদ এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনীর হয়ে তিন ম্যাচ খেলেছেন। আকাশি-হলুদদের ইতিহাস গড়া আসরের পুরোটা সময় দর্শক হয়ে ছিলেন তপু। অন্যদিকে মৌসুম শেষে ইনজুরির কবলে পড়েন জনি।
দলবদলে ফাহাদ ও তপু ঠিকানা বদলে যোগ দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসে। আগামী মৌসুমে পুরনো ক্লাব কিংসেই থাকছেন জনি। আগামী মৌসুমের অর্ধেকটা সময় পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করতে হবে তাকে। দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে দ্রুতই ফেরার প্রহর গুনছেন তপুও। ফাহাদকে ফিরতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কুশলী এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের কাছে মধ্যবর্তী সময়টা বেশ অস্বস্তিকর!
‘ইনজুরি একজন ক্রীড়াবিদের জন্য অভিশাপ। জাতীয় ও ক্লাব দলের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলতে না পারাটা আমার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো’—গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন ফাহাদ। ২৪ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার যোগ করেন, ‘এএফসি কাপে আবাহনীর ইতিহাস গড়ার অংশ হতে পারিনি। আমার জেলায় চলছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ। এখানেও খেলা হচ্ছে না। এ কষ্ট বলে বোঝানো কঠিন!’
ফিফা বিশ্বকাপ ও এএফসি এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে বাংলাদেশ পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ১৪ নভেম্বর, ওমানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচের আগে ফেরার চেষ্টা করছেন তপু। ফাহাদের অবশ্য সে সম্ভাবনা নেই। এ সম্পর্কে জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে বলেছেন, ‘তপু ও ফাহাদের ফিরতে আরো সময় লাগবে। ওমান ম্যাচের জন্য দুজনকে