কানাডার আর্কটিক উচ্চতায় অবস্থিত হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলো নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। কয়েক দশক ধরে উত্তরাঞ্চলীয় নদীগুলো অজ্ঞাতসারে বায়ুমণ্ডল থেকে অ্যামাজনের রেইনফরেস্টের চেয়েও দ্রুত হারে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করছে বলে গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন। খবর গার্ডিয়ান।
প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হিমবাহ সৃষ্ট নদীগুলো নিয়ে প্রচলিত তথ্যগুলোকেই পাল্টে দিয়েছে। এতদিন এসব নদীকে কার্বন নিঃসরণের বড় উৎস ভাবা হতো।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জীববিজ্ঞানী ও প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. কিরা সেন্ট পিয়েরে বলেন, এটা একেবারে আশ্চর্যজনক এক আবিষ্কার। এতদিন আমরা নদীগুলো সম্পর্কে যা জানতাম, সে দিক থেকে বিবেচনা করলে এ আবিষ্কারকে ধারণাপ্রসূত বলে মনে হবে। কিন্তু আমরাও এই আবিষ্কারে একেবারে হতবাক হয়ে পড়েছি।
কানাডার নুনাভুট অঞ্চলের এলসমেয়ার আইল্যান্ড থেকে সংগৃহীত বরফ গলা পানির নমুনা থেকে এ তথ্য আবিষ্কার করা হয়েছে। দ্বীপটিতে বেশকিছু হিমবাহ গলে হাজেন লেকে গিয়ে পড়েছে। এছাড়া গবেষক দল রকি পবর্তমালা ও গ্রিনল্যান্ড থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছে।
সেন্ট পিয়েরে বলেন, হিমবাহ নিয়ে আমাদের তুলনামূলক ভালো বোঝাপড়া থাকলেও গলিত পানির বিষয়ে আমরা খুব বেশি কিছু জানি না। এছাড়া এ পানি নদী ও নিচের দিকে লেকে পড়ার সময় কী ঘটে, সে সম্পর্কেও আমরা জানি না।
নাতিশীতোষ্ণ নদীগুলোয় উচ্চ পচনশীলতার অর্থ এখনো বায়ুমণ্ডল থেকে যতটা কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষিত হয়, তার চেয়ে বহু গুণ নিঃসরিত হয়। কিন্তু হিমবাহ নদীতে অনেক কম কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরিত হয়।