৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে বিবিএস কেবলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। গত বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
এদিকে ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য মূলধনি যন্ত্রপাতি ও জমি কিনবে বিবিএস কেবলস। এর জন্য ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। বুধবারের সভায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এ অনুমোদন দিয়েছে।
সমাপ্ত হিসাব বছরে বিবিএস কেবলসের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১১১ কোটি ৪৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৪ কোটি ১০ লাখ ২২ হাজার টাকা বা ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ১৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮ টাকা ৮ পয়সা। এ হিসাবে গত হিসাব বছরে ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা বা ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৪ টাকা ৩১ পয়সা।
সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনার জন্য আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত কোম্পানির কারখানা প্রাঙ্গণে ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ নভেম্বর।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় বিবিএস কেবলস। ২০১৭ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। সে বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪ টাকা ১২ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার বিবিএস কেবলস শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৭২ টাকা ৩০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৭২ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭০ টাকা ১০ পয়সা ও ১২৯ টাকা ৫০ পয়সা।