সাম্প্রতিককালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে নানা উপাখ্যান পত্রিকায় দেখছি। বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও ৪৫টির কার্যক্রম চলমান। তার মানে এই ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মধ্যে কারো কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এবং সর্বোপরি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আছে। এ উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন? অনেকেই আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে জানতে চান আসলে সমস্যা কোথায়? যেহেতু আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এছাড়া অনেকেই জানেন, আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নীল দলের আহ্বায়ক হওয়ার কারণে উপাচার্যদের কাছাকাছি থেকে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। যেহেতু শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, ফলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থাও জানি। কেন এ সমালোচনা? বাস্তব ভিত্তি কতটুকু?
৩০ সেপ্টেম্বর মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যদের সততা ও নৈতিকতা দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে উপাচার্যদের সঙ্গে এক সভায় মাননীয় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এ সম্ভাবনা কতটুকু? আমি আলোচনাটাকে তিনটি ভাগে ভাগ করতে চাই। সমস্যাগুলো কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে? প্রধানত সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে উন্নয়ন প্রকল্প চলমান এবং সদ্য চলমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আছে অর্থনীতি। বিল্ডিংসহ ল্যাবরেটরি স্থাপন ও আসবাব ক্রয়। তার মানে টেন্ডার, মানেই হলো বাণিজ্য। কে কত ভাগ পাবে, কীভাবে পাবে সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এ দৌড়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ছাত্রসংগঠন, উপাচার্যের গ্রুপসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এগিয়ে থাকেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি পণ্য সরবরাহের স্থান ছাড়া এই শ্রেণীর মানুষগুলোর কাছে আর কিছু নয়।
প্রথমত আসা যাক উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে। উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার জন্য রাজনীতিবিদদের কাছে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ধরনা দেন, তা সত্যিই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের পাশের দেশ ভারতে গত জুনে বেড়াতে গিয়ে পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেখে অবাক হয়েছি। পত্রিকায় উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে এবং একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রাপ্ত আবেদন থেকে উপাচার্য নিয়োগ করা হবে বলে উল্লেখ ছিল। এছাড়া উপাচার্যের যোগ্যতা কী হবে উল্লেখ ছিল। আমাদের দেশে এ রকম কোনো প্রক্রিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ করা হয় বলে আমার জানা নেই। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই একটি গলদ থেকে যায়। এতে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় নিয়োগ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সোনার হরিণ হিসেবে উপাচার্য পদ পেয়ে যান। এর পর আসা যাক উপাচার্যদের ক্ষমতার বিষয়ে। বাংলাদেশের উপাচার্যদের স্বায়ত্তশাসনের নামে অগাধ
- নয়া কৃষি বিপ্লব ও খাদ্যনিরাপত্তায় ন্যানো প্রযুক্তি
- মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চাই কার্যকর সদিচ্ছা এবং সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তা
- নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের দায়িত্ব সরকারেরই
- জীবনধারণের মৌলিক উপকরণগুলো নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে
- মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতার প্রথম স্বাদ
- অর্থনীতির দুর্বল গতির প্রতিফলন