নিম্নমানের কারণে ভারতের চা রফতানি ও ব্যবহারে শ্লথগতি

বণিক বার্তা ডেস্ক

 উৎপাদিত চায়ের নিম্নমান এবং রঙ মেশানোর ফলে ভারতে পানীয় পণ্যটির রফতানি ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি শ্লথগতিতে রয়েছে অবস্থায় ভারতের টি বোর্ড সম্প্রতি চায়ে রঙ মেশানোর দায়ে খাতসংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, পিটিআই দ্য টেলিগ্রাফ

ভারতের টি বোর্ডের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশটিতে পানীয় পণ্যের ব্যবহার ছিল ১০৮ কোটি ৪০ লাখ কেজি যেখানে তার আগের বছর ব্যবহার ছিল ১০৫ কোটি ৯০ লাখ কেজি সে হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে চায়ের ব্যবহার বেড়েছে দশমিক ৩৬ শতাংশ আর ২০১৭ সালের প্রবৃদ্ধির তুলনায় বছরে পানীয় পণ্যটির প্রবৃদ্ধি কমেছে দশমিক শতাংশ

অন্যদিকে টি বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ভারতের চা রফতানিতেও শ্লথগতির ভাবধারা বজায় রয়েছে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটি থেকে ১৬ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার কেজি চা রফতানি হয়েছে যেখানে গত বছরের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশটির চা রফতানি বেড়েছে মাত্র ৩০ হাজার কেজি গত বছর দেশটির মোট চা রফতানির পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার কেজি সে হিসাবে, গত বছরের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে চলতি বছরের বাকি সময়গুলোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চা রফতানি করতে হবে

মান উন্নত দেখাতে ভারতের বিভিন্ন চা প্রতিষ্ঠান পানীয় পণ্যটিতে এক ধরনের রঙ ব্যবহার করছে, যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর অবস্থায় দেশটির টি বোর্ড আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে রঙের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে যার ফলে টি বোর্ড এখন অনেক কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে লাইসেন্স বাতিলের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এছাড়া খাতসংশ্লিষ্ট সবাইকে খাদ্যনিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য মান-বিষয়ক গাইডলাইন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) অনুসরণের পরামর্শও দিয়েছে টি বোর্ড এছাড়া উৎপাদিত চায়ের মান ঠিক রাখতে দেশটি এখন শীত মৌসুমে চা বাগান বন্ধ রাখা আবশ্যক করতে যাচ্ছে

এফএসএসএআই-২০১১ বিধিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো বস্তু রঙ ভোগ্যপণ্যে ব্যবহার করা যাবে না

সম্প্রতি ভারতের চা বোর্ড তাদের এক নোটিসে মোটামুটি মানের চায়ের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রঙ মেশানোর তথ্য জানিয়ে বলছে, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নষ্ট হয়ে যাওয়া চা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন