বিশ্বে বয়সী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আগামীতে ডায়াপার ব্যবহারকারী শিশুদের চেয়ে বয়সী মানুষের সংখ্যা বাড়বে। সম্ভাবনাময় এ বাজারকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে ডায়াপার ম্যানুফ্যাকচারারদের ভাগ্য খুলে যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে। খবর জাপানটুডে।
এ খাতের সম্ভাব্য বাজার সৃষ্টিতে ডায়াপার ব্যবহার নিয়ে বয়সী মানুষের মধ্যে যে সংকোচ ও সামাজিক কুসংস্কার রয়েছে, তা কাটানো প্রয়োজন। বয়সী মানুষের ডায়াপার, একবার ব্যবহারযোগ্য আন্ডারওয়্যার ও শোষণকারী প্যাডের বাজার দ্রুত বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বাজার ৯ শতাংশ বেড়ে ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত দশকের দ্বিগুণ বলে জানিয়েছে ইউরোমনিটর।
এসিটি ও কিম্বার্লি-ক্লার্ক কর্পের মতো বিখ্যাত ডায়াপার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো বিশ্বের ৪০ কোটির বেশি বয়সী মানুষের মাত্র অর্ধেকের প্রতি মনোযোগ দেয়, যাদের ডায়াপার ব্যবহার করা প্রয়োজন। ফলে ব্যবহারকারীদের অর্ধেক মানুষ দরকারমতো ডায়াপার ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া যেসব বয়সী মানুষের ডায়াপার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তাদের বড় একটা অংশ সংকোচে এ চাহিদার কথা সচরাচর প্রকাশ করে না, যা ডায়াপারের বাজার সম্প্রসারণের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো বড়দের ডায়াপার ব্যবহারের সংকোচ কাটানোর আরো বেশি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে একই প্রতিবেদনে।
তবে মানুষের মধ্যে ডায়াপার ব্যবহার নিয়ে যে জড়তা রয়েছে, তা দূর করতে কিছু কোম্পানি এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ডায়াপার নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য পণ্যটিকে ডায়াপার বা ন্যাপি না বলে ব্যক্তিগত পরিচর্যা আইল, ডিওডোর্যান্ট, ম্যান্সট্রুয়াল প্যাড বলার প্রথা চালুর চেষ্টা করছে কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে বড়দের এসব পণ্য ছোটদের সেকশনে না রেখে আলাদা বা বড়দের সেকশনে রাখারও সুপারিশ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি বড়দের ডায়াপার ব্যবহারের বিষয়টি সাধারণ সামাজিক আলোচ্য বিষয়ে পরিণত করার চেষ্টা করছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপারটি আরো সাধারণ ও প্রয়োজনীয় করার উদ্যোগ নিয়েছে দুয়েকটি কোম্পানি।
জাপানে ২০১৩ সাল থেকে বয়সীদের ডায়াপার বিক্রি করা হয়। দেশটিতে বয়সী মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বড়দের ডায়াপার বিক্রি ছোটদের ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে বড়দের ডায়াপার উৎপাদনকারী বিখ্যাত কোম্পানি ইউনিচার্ম কর্প নিজেদের বিজ্ঞাপনে ‘চোই মোর’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে, যার জাপানি প্রতিশব্দ ‘লিল’, যাতে করে বড়রা শব্দটি উচ্চারণে অস্বস্তি বোধ না করেন। এ প্রসঙ্গে কোম্পানিটির মুখপাত্র হিতোশি ওয়াতানাবো বলেন, আমরা বড়দের মধ্যে