বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

ফার্মেসি-কর্মচারীর দৌরাত্ম্যে আইসিইউতে চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে

ইব্রাহীম খলিল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ভবনের সপ্তম তলায় দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে একনাগাড়ে মোবাইলে গেম খেলছিলেন ইমরান হোসেন। তার আশপাশে আয়েশি ভঙ্গিমায় বসা আরো কয়েকজন যুবক। জায়গাটিতে থাকার কথা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রোগীদের স্বজনদের। রোগীদের কেউ না হয়েও প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এভাবেই বসে থাকেন তারা।

হাসপাতালের আইসিইউর কেবিনের সামনে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ইমরানের মতো ১৫-২০ যুবক প্রতিদিনই আইসিইউর সামনে এভাবে অবস্থান নিয়ে বসে থাকেন। তাদের কাজ হাসপাতালের বাইরের বিভিন্ন ফার্মেসির হয়ে আইসিইউতে ভর্তি রোগী তাদের স্বজনদের পাহারা দেয়া এবং নতুন রোগীর অপেক্ষা করা। মূলত বাইরের ফার্মেসিগুলোর হয়ে আইসিইউর রোগী বা তাদের স্বজনদের কাছে বাকিতে উচ্চমূল্যে ওষুধ বিক্রি করেন তারা। ওষুধ বিক্রির জন্য নতুন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলাও তাদের কাজ। কম যান না হাসপাতালের নার্স-কর্মচারীরাও। বকশিশের নাম করে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করছেন টাকা। এতে বেড়ে যাচ্ছে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা ব্যয়।

আজিজ কো-অপারেটিভ মেডিসিন মার্কেটের নিচতলায় ফার্মেসি রয়েছে ২৩টি। এসব ফার্মেসির অধিকাংশেরই এক-দুজন করে কর্মচারী হাসপাতালের কেবিন ভবনের আইসিইউ ফ্লোরে নিয়ম করে ডিউটি করছেন। আইসিইউর বাইরে পাহারা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে আজিজ কো-অপারেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মার্কেটের দোকান অভি ফার্মেসির কর্মচারী ইমরান হোসেন বলেন, আমরা তো আসলে রোগীদেরই সেবা করি। তাদের কখনই ফার্মেসিতে ওষুধের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। আমরাই সব ওষুধ নিয়ম করে ঠিক সময়ে এনে দিই। ওষুধের দামও বেশি রাখি না।

তবে খোঁজ নিয়ে তার দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এক রোগীর স্বজনের কাছ থেকে কিছু ওষুধের তালিকা নিয়ে মার্কেটের বিভিন্ন ফার্মেসিতে মূল্য যাচাইয়ের প্রয়াস চালানো হয়। কিন্তু এসব ফার্মেসির মালিক-কর্মচারীদের কেউই দাম জানাতে চাননি। কেরানীগঞ্জ মেডিকেল হল ভাই ভাই ফার্মেসি নামে দুটি দোকানের কর্মচারীদের বক্তব্য হলো, না কিনলে ওষুধের দাম

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন