উদ্বোধনের ১৫ দিনের মাথায় বন্ধ

একমাত্র সরকারি কাঁকড়া হ্যাচারি এখন পরিত্যক্ত

ইব্রাহিম খলিল মামুন কক্সবাজার

প্রাকৃতিক উৎস থেকে কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহের ওপর নির্ভরতা কমাতে কক্সবাজারে দেশের একমাত্র সরকারি কাঁকড়া পোনা হ্যাচারি স্থাপন করে মত্স্য অধিদপ্তর। চলতি বছরের ১৪ জুন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় হ্যাচারিটি। কিন্তু ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় উদ্বোধনের ১৫ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় এটি। ফলে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হ্যাচারি।

জানা যায়, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি শহরতলির কলাতলী সাগর তীরে অবস্থিত মত্স্য অধিদপ্তরের পিসিআর ল্যাবসংলগ্ন স্থানে হ্যাচারির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মত্স্য অধিদপ্তরের তত্কালীন মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ। চলতি বছরের ১৪ জুন হ্যাচারিটি উদ্বোধন করেন মত্স্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল। কিন্তু হ্যাচারিটি উদ্বোধনের আগেই গত মে মাসে প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক (পরামর্শক) ফিলিপাইনের নাগরিক মিজ এমিলি নিজ দেশে ফিরে যান। এরপর তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলেও আর বাড়ানো হয়নি। এরই মধ্যে হ্যাচারিতে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োজিত বিদেশী পরামর্শকসহ অন্যদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ফলে উৎপাদন শুরুর আগেই বন্ধ হয়ে গেল কাঁকড়া পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারিটি। অথচ কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে নির্মিত হ্যাচারিতে প্রতি সাইকেলে বা ২৮ দিন অন্তর ৯০ হাজার করে পোনা উৎপাদন করার কথা ছিল।

কক্সবাজার জেলা মত্স্য কর্মকর্তা এএসএম খালেকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশে কাঁকড়া কুঁচিয়া চাষ সম্প্রসারণের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পের অধীনে চলতি বছরের জুনে কাঁকড়া পোনা হ্যাচারিটি উদ্বোধন হয়েছে। তবে যে সময় এটি উদ্বোধন করা হয়, তখন প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষ। এছাড়া ওই সময়টি পোনা উৎপাদনের মৌসুমও ছিল না। কাঁকড়ার পোনা উৎপাদন করা যায় নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস। এখন মত্স্য অধিদপ্তর যদি হ্যাচারিটি চালুর জন্য রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ দেয়, তাহলে এটি ফের চালু করা যাবে।

ভাইরাসসহ নানা রোগব্যাধির কারণে বিপর্যস্ত চিংড়ি শিল্পের বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছিল নরম খোলসের কাঁকড়া চাষকে। কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় জলাভূমি বা ঘেরে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন