সাইকো থ্রিলার দ্য লাইটহাউজ

ছবির জন্য ৭০ ফুটের লাইটহাউজ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিগাল

সাদা-কালো সাইকো থ্রিলার দ্য লাইটহাউজ ছবির জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল সত্যিকার বাতিঘর। ৭০ ফুট লম্বা এই লাইটহাউজ আলোকিত হয় ফ্রেসনেল লেন্স দিয়ে। রবার্ট এগারসের পরিচালনায় নির্মিত লাইটহাউজে অভিনয় করেছেন উইলেম ড্যাফো রবার্ট প্যাটিনসন।

দ্য লাইটহাউজ দিয়ে পরিচালক রবার্ট এগারস একুশ শতকে গথিক নির্বাক সিনেমাকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন। উনিশ শতকের একটি লাইটহাউজের দুজন রক্ষক উইলেম ড্যাফো রবার্ট প্যাটিনসন। একই বাতিঘরের রক্ষক হলেও তারা একে অন্যকে মনস্তাত্ত্বিক শারীরিকভাবে হত্যা করতে উদ্যত।

পুরো ছবির উত্তেজনায় ড্যাফো প্যাটিনসনের সঙ্গে বড় ভূমিকায় আছে সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাইটহাউজ। ছবির জন্য কানাডার নোভা স্কটিয়ায় সত্য সত্যই একটি লাইটহাউজ নির্মাণ করা হয়েছে, যা ১৬ মাইল এলাকায় আলো ছড়াতে সক্ষম। ফ্রেসনেল লেন্সের তৈরি বাতিঘরটি পুরনো সময়কে জীবন্ত করে তুলেছে। ছবির প্রডাকশন ডিজাইনার ক্রেগ ল্যাথরপ বলেছেন, ‘ছবিটায় পুরনো সময়ের গন্ধ আছে। ছবিতে দর্শক পুরনো সময়ে ভ্রমণ করবেন।

লাইটহাউজ ছবির জন্য দরকার ছিল বাতাস বিক্ষুব্ধ ঢেউয়ের সাগরতীর এবং সেখানে একটা লাইটহাউজ। কিন্তু রকম কোনো লাইটহাউজ না পাওয়ায় ক্রেগ ল্যাথরপ নোভা স্কটিয়ার কেপ ফোর্চুতে একটি বাতিঘর নির্মাণ করেন। বাতিঘরটি উচ্চতায় ৭০ ফুট। পাথুরে ভূমিতে ড্রিল করে লোহার বার ঢুকিয়ে তৈরি করা হয় এর কাঠামো। এরপর টন টন কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ হয় দেয়াল। প্রবল বাতাসের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা হিসেবে যুক্ত করা হয় সেফটি কেবল। বাতিঘরের ভেতরে আছে স্টিলের ঘোরানো সিঁড়ি ফ্রেসনেল লেন্সের লণ্ঠন।

ফ্রেসনেল লেন্স ছিল ল্যাথরপের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এর আলো ভুতুড়ে। ল্যাথরপ অস্ট্রেলিয়ায় এমন একটি লেন্স পেয়েছিলেন কিন্তু সেটা জাহাজে করে আনা সম্ভব ছিল না। তাই তারা নিজেরাই একটি তৈরি করে নেন।

ছবি শুরুর আগেই লাইটহাউজ নির্মাণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।নিউইয়র্কে পরিচালক রবার্ট এগারস সিনেমাটোগ্রাফার জারিনের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। আমি লাইটহাউজের নকশা থ্রিডি মডেল আকারে সবাইকে দেখাই।ল্যাথরপ পরিচালককে জানান, লাইটহাউজটি নির্মাণের জন্য তিনি ফ্লোরিডায় লোক পেয়েছেন এবং এজন্য তার ফান্ডিং প্রয়োজন। এভাবেই শুরু হয় লাইটহাউজ নির্মাণ।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন