সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক . হাছান মাহমুদ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ সেমিনার হলে বেসরকারি সংস্থা প্রজ্ঞা আত্মা আয়োজিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল আর্টিক্যাল . বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ এবং তামাকবিরোধী গণমাধ্যম পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা বা হার ধীরে ধীরে কমছে। সেটি ৪০ শতাংশ থেকে কমে ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আইন করা হয়েছে, আইনের প্রয়োগও হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই দেখবেন, জনসম্মুখে সিগারেট খাওয়ার কারণে জরিমানা করা হয়েছে। খবরগুলো খুব বেশি কাগজে ছাপানো হয় না। সে কারণেই আপনারা বা আমরা জানতে পারি না।

তামাকজাত পণ্য ব্যবহার হ্রাসে অনেক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমি মনে করি, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৪০ সাল নাগাদ একটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ রচনা করা সম্ভবপর হবে।

-সিগারেটের বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, -সিগারেট কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ছে। এবং এই -সিগারেটটা পুরোপুরি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ভারতে এর আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও এর আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এরই মধ্যে আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর গোচরে এনেছি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি বিড়ি-সিগারেটের বিজ্ঞাপনে শুধু ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, ধূমপান মৃত্যুর কারণ ঘটায় এটিও লিখে দেয়া উচিত এবং কোনো সিনেমা যদি তামাক ব্যবহারের দৃশ্যে এটি সঠিকভাবে না লেখে, তাহলে সেন্সর বোর্ড সেটিকে অনুমোদন দেয় না। অর্থাৎ প্রচারমাধ্যমে তামাকের বিরুদ্ধে অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ব্যাপক প্রচারণা আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন