সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ভ্রমণ

বিনা মূল্যে ৩৮০ টিকিট চায় কৃষক লীগ, বিব্রত রেলওয়ে

সুজিত সাহা, চট্টগ্রাম ব্যুরো

আগামী নভেম্বর ঢাকায় কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম থেকে কয়েকশ প্রতিনিধি এতে যোগ দেবেন। তাদের জন্য রেলওয়ের কাছ থেকে বিনা মূল্যে ৩৮০টি স্লিপিং বার্থ টিকিট চেয়েছে কৃষক লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি। সংগঠনটির এই আবদারে বিব্রত রেল কর্তৃপক্ষ।

বিনা মূল্যে টিকিট দেয়ার সুযোগ না থাকার বিষয়টি রেলওয়ের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সংগঠনটিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষক লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার শীর্ষ নেতারা ফ্রিতে টিকিট নিতে নাছোড়বান্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর ফ্রিতে টিকিট নিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে (সিসিএমউদ্দেশ করে চিঠি দেয় বাংলাদেশ কৃষক লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি। সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ কৃষক লীগ জাতীয় কাউন্সিল-১৯-এর প্রথম অধিবেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ওই কাউন্সিলে ১৯০ জন কাউন্সিলর যোগ দেবেন বলে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জানানো হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে নভেম্বর তূর্ণা-নিশীথায় (চট্টগ্রাম-ঢাকা) ট্রেনের ১৯০টি প্রথম শ্রেণীর সিট বা চারটি বগি এবং নভেম্বর ফিরতি পথে তূর্ণা-নিশীথা (ঢাকা-চট্টগ্রাম) ১৯০টি প্রথম শ্রেণীর সিট বা চারটি বগি বিনা মূল্যে বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। নিয়ম না থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের চিঠি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেও কমিটির নেতারা মৌখিকভাবে দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি দলসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচিকে সামনে রেখে টিকিট কিনতে চাইলে রেলওয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করে। কিন্তু এই প্রথম রেলে ফ্রি টিকিটের দাবি এসেছে। একটি স্বনামধন্য রাজনৈতিক সংগঠনের ধরনের কাজে রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা বিব্রতবোধ করছেন।

রেলস্টেশন বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ট্রেনে ফ্রি টিকিটের কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধু যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা প্রয়োজনীয় তথ্য কাগজপত্র প্রদানসাপেক্ষে ট্রেনে ফ্রিতে ভ্রমণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা একটি ট্রেনের সর্বোচ্চ শ্রেণীর টিকিটও ফ্রিতে সংগ্রহ করতে পারবেন। একটি ট্রেনে চারটি আসন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। তবে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রাধিকার

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন