১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে সড়ক পরিবহন আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর গত বছরের অক্টোবরে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। গেজেট প্রকাশের প্রায় ১১ মাস পর আগামী নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে আইনটি। গতকাল সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে কথা জানানো হয়।

সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা -এর উপ-ধারা ()- দেয়া ক্ষমতাবলে সরকার নভেম্বরকে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করল।

গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজশিক্ষার্থী নিহত হন। সেদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি করে পাস করা হয় সড়ক পরিবহন আইন।

আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। নতুন আইনে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চালকের কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাসের শর্ত রাখা হয়েছে। একইভাবে চালকের সহকারীর পঞ্চম শ্রেণী পাসের সার্টিফকেট থাকার কথা বলা হয়েছে।

নতুন আইনে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে অনধিক ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। আগের আইনে অপরাধের জন্য তিন মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।

নতুন আইন অনুযায়ী, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না চালক। আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদণ্ড বা হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছেএমন অপরাধের ক্ষেত্রে চালককে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে।

আইনে লাইসেন্সে থাকবে মোট ১২ পয়েন্ট। বিভিন্ন বিধি অমান্য করলে সেখান থেকে পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হলে বাতিল হবে চালকের লাইসেন্স। দুর্ঘটনার জন্য শাস্তি দেয়া হবে দণ্ডবিধি অনুযায়ী। নরহত্যা হলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড। হত্যা না হলে ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটালে ৩০৪ (বি) ধারা অনুযায়ী তিন বছরের কারাদণ্ড হবে।

সড়ক পরিবহন আইনের ১০৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মোটরযান চলাচলজনিত দুর্ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন