নিজ সংসদীয় আসনের নেতাকর্মী এবং প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন সালমান ফজলুর রহমান। এলাকায় তার আগমনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি নিরুৎসাহিত করতে চান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। ঢাকা-১ আসনের এ সংসদ সদস্য রাজনৈতিক ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে প্রশাসনকেও একটি চিঠি দিয়েছেন।
জানা গেছে, ‘কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনা’র পরিপ্রেক্ষিতে দোহার ও নবাবগঞ্জের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এক চিঠিতে সালমান ফজলুর রহমান লিখেছেন, এলাকায় তার আগমনকে কেন্দ্র করে ‘বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি/কর্মকাণ্ড’কে তিনি নিরুৎসাহিত করতে চান। তিনি লিখেছেন, ‘অতি উৎসাহী নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খল উপস্থিতি, অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়োজনীয় মোটরসাইকেলের বহর সাধারণ জনগণের মনে বিরক্তি সৃষ্টি করে।’ এসব কর্মকাণ্ড থেকে নেতাকর্মীদের বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া দুই উপজেলার স্থানীয় প্রশাসন বরাবর পৃথক এক চিঠিতে সালমান এফ রহমান যত্রতত্র পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, শুধু সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারে বিশেষ স্থানে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো যাবে। এসব ক্ষেত্রে কেবল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ব্যবহার করা যাবে।
দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লেখা চিঠিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের জন্য কিছু উপদেশ দিয়েছেন এমপি সালমান এফ রহমান। একটি আদর্শ ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়নের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করা ও শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করার পরামর্শ দিয়েছেন।
