জনসচেতনতার মাধ্যমেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব —খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শুধু আইন মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) দিয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভেজাল বিষয়ে কৃষক ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। অর্থাৎ জনসচেতনতার মাধ্যমেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।

গতকাল চট্টগ্রামের হোটেল সৈকতে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা শীর্ষক এক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যের মান বজায় রাখার জন্য কাজ করছে সরকার। অধিকাংশ কৃষক জানেন কীটনাশকে ক্ষতি হয়, তার পরও ফসল কম হবে আশঙ্কায় কীটনাশক ব্যবহার করেন। কীটনাশক অর্থই তা খারাপ, এমন নয়। তবে বিধিবিধান মেনে কীটনাশক ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই। ভেজাল রোধে দেশে ৪৮০টি সংস্থা ৭১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিরাপদ খাদ্যের জন্য কাজ করছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চট্টগ্রামে ১০টি খাদ্যগুদাম সিলগালা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি আমি পরিদর্শন করেছিলাম। বাকি ছয়টি একই অবস্থা জেনে সিলগালা করা হয়েছে। যারা খাদ্যগুদামের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ভেজাল অনিয়ম প্রতিরোধে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধি অভিযান চলছে। খাদ্যগুদামের অনিয়ম তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র নাছির উদ্দীন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন