ইয়াং এলিফ্যান্টস এফসিকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সেমিফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল চট্টগ্রাম আবাহনী।
দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। মোহনবাগান ও ইয়াং এলিফ্যান্টসের পয়েন্ট ৩ করে। গোল গড়ে ভারতীয় ক্লাবটি দ্বিতীয় স্থানে আছে। আগামীকাল দুই ম্যাচের পর গ্রুপের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ৯ মিনিটে ডানদিকে বক্সের মধ্যে বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কাটব্যাক করেন মন্টেনেগ্রোর ফরোয়ার্ড লুকা রকতভিচ; গড়ানো শটে চট্টগ্রাম আবাহনীকে এগিয়ে নেন নাইজেরিয়ান চিনেদু ম্যাথিউ (১-০)। প্রতিযোগিতায় এটি ছিল তার তৃতীয় গোল। ১৪ মিনিটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লাওসের ক্লাবটি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া সেটপিসে বল জালে পাঠান আফিজাই। গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল বামদিকে ঝাঁপালেও বলের নাগাল পাননি (১-১)।
২৫ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিক বামদিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন ইয়াং এলিফ্যান্টস গোলরক্ষক থিলাভং সোলাসাক। ৩৩ মিনিটে রক্ষণের ভুলে পিছিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। বক্সের বাইরে বল পাওয়া উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার ইকবাল জন ডানদিকে স্কয়ার পাস বাড়ান; ফাঁকায় তা ধরেন সমজয় কেওহানাম। পরবর্তী সময়ে ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসানকে কাটিয়ে বাম পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন এ ফরোয়ার্ড (২-১)। মোহনবাগানের বিপক্ষে জোড়া গোল করা সমজয়েরও প্রতিযোগিতায় গোলসংখ্যা তিন।
বিরতির পর ৫৪ মিনিটে ম্যাচে ফিরে আসে চট্টগ্রাম আবাহনী। বামদিক থেকে বক্সে দারুণ ক্রস ফেলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। মাথা ছুঁইয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন ৩১ বছর বয়সী লুকা। ৭২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার গোলে ম্যাচে আবার এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডানদিক থেকে রহমত মিয়ার থ্রো-ইন হেডে বামদিকে বাড়ান চিনেদু ম্যাথিউ। পরবর্তী সময়ে রিয়াদুল হাসান বুক দিয়ে বল নামিয়ে দেয়ার পর বাম পায়ের শটে জালে পাঠান জামাল ভূঁইয়া (৩-২)। ৭৮ মিনিটে বাম দিক থেকে নেয়া জামাল ভূঁইয়ার কর্নার ম্যাচের ভাগ্য লিখে দেয় (৪-২)।