ঘুম থেকে উঠে আমাদের দিন শুরু হয় ঘড়ি দেখে। অফিস কিংবা ক্লাসে যাওয়ার তাড়াও দেয় এ ঘড়ি। প্রযুক্তির এ যুগে হয়তো সময় দেখা সহজ করে দিয়েছে মুঠোফোন। তবে দেয়াল বা টেবিলে রাখা ঘড়ির আবেদন এখনো কমেনি। ঘুম থেকে জেগে আগে চোখ যায় টেবিলে থাকা ঘড়িতেই। নাশতা করতে করতে আমরা দেখে নিই সময়। সময় দেখার জন্য আবির্ভূত হয়েছে নানা নকশার ঘড়ি। অরওয়ার্ক পারমাণবিক টেবিল ক্লক ও এমবিঅ্যান্ডঅফ রোবট ক্লকের মতো দুর্দান্ত টেবিল ঘড়িগুলো বেশ জনপ্রিয়
সম্প্রতি একটি টেবিল ঘড়ি বাজারে এসেছে, যা
কোল্ড রিভলবারের মতো দেখতে। এ রিভলবার ঘড়িটি দেখলে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। আরো একটি
বিস্ময়কর বিষয় হলো, টেবিল ঘড়িটি রহস্যজনকভাবে
‘আননেমড সোসাইটি’র নামে বাজারে এসেছে। এ বছরের শুরুর
দিকে প্রতিষ্ঠিত এই আননেমড সোসাইটি নিজেকে
‘অনুরাগী উদ্ভাবক ও নকশাকারকের দল’ হিসেবে বর্ণনা
করেছে। তারা এও দাবি করেছে,
এমন অসম্ভবকে তারা সম্ভব করছে, যা
কল্পনাও করা যায় না। আননেমড সোসাইটির প্রথম সৃষ্টি হলো এ রিভলবার আকৃতির টেবিল
ঘড়ি। বিখ্যাত সুইস বিলাসবহুল ঘড়ি নির্মাতা এল’ইপের সহযোগিতায় ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে।
এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগছে, পৃথিবীর এত কিছু বাদ দিয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেন রিভলবার থিম বেছে নিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আননেমড সোসাইটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রিভলবারের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য এটিকে সময় দেখার জন্য একটি বাধ্যকারী প্লাটফর্ম করে তুলেছে। প্রতিটি মুহূর্তের মূল্যকে এটি যথাযথ করে তুলেছে। এটির কী কী জটিলতা এবং শেষ পর্যন্ত একটি সহজ উপস্থাপন।
এল’ইপের সিইও আরনাড নিকোলাস বলেন, আমরা
শুরু থেকেই জানতাম, একটা বিশেষ কিছু নিয়ে কাজ করছি। অনন্য শৈলীতে ঘড়ি নিয়ে আসা আজীবনই একটি
চ্যালেঞ্জ এবং এ নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত।
দি আননেমড সোসাইটি বলছে, বিশেষ
অর্ডারে তৈরীকৃত প্রতিটি বন্দুক গ্রিপ ও খোদাইয়ে অনন্য। রিভলবারের বাইরের পাশে
বিশেষ ধরনের জলপাই, নাশপাতি ও গোলাপ কাঠ এবং উপাদান থেকে শুরু করে শাগ্রিন, আলংকারিক
রশ্মির ব্যবহার করা হয়েছে। এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে রত্ন থেকে শুরু করে মূল্যবান
ধাতু, ভেড়া ও হরিণের শিং এবং জিরাফের হাড়। এমন উপাদানগুলো ব্যক্তিগতকরণের
সম্ভাবনা বস্তুত সীমাহীন। এসব উপাদান ও নজরকাড়া নকশার কারণে অনেক মানুষই ঘড়িটি
নিজের করে নিতে চাইবে।
সূত্র: লাক্সারি লঞ্চেস