আইএমএফের রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক

প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কমবে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি আগামী বছর এশিয়া-প্যাসিফিকের অর্থনীতিগুলোর প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সংস্থাটি বলছে, নীতি অনিশ্চয়তা, বাণিজ্য বিবাদ বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদারগুলোর দুর্বলতা প্রবৃদ্ধি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। খবর সিএনবিসি, স্ট্রেইটসটাইম।

রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুকপ্রতিবেদনে আইএমএফ বলছে, ২০১৯ সালে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে শতাংশ এবং ২০২০ সালে দশমিক শতাংশ, যা এপ্রিলের সংস্থাটির ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে করা পূর্বাভাসের তুলনায় যথাক্রমে শূন্য দশমিক শূন্য দশমিক শতাংশ কম। সংস্থাটির পূর্বাভাস ফলে গেলে তা হবে ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট-পরবর্তী সবচেয়ে শ্লথগতির প্রবৃদ্ধি। তবে এর পরও বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকবে এশিয়া।

আইএমএফ বলছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বাণিজ্য বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য পতন হয়েছে। অন্যদিকে নীতি অনিশ্চতার কারণে ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মতো কার্যক্রম কমছে। সংস্থাটি যেসব ঝুঁকির কথা জানিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি, তেলের দরবৃদ্ধি, চীনের প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশার তুলনায় বড় সংকোচন ঘটা এবং জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের আরো অধঃপতন।

প্রত্যাশার তুলনায় কম প্রবৃদ্ধি করা অর্থনীতিগুলোর তালিকায় রয়েছে হংকং। আইএমএফ বলছে, এশিয়ার অর্থনীতিটি চলতি আগামী বছর বাড়বে যথাক্রমে শূন্য দশমিক শতাংশ দশমিক শতাংশ, যা আগের করা পূর্বাভাসের তুলনায় যথাক্রমে দশমিক শতাংশ দশমিক শতাংশ কম। কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভে চাপে রয়েছে হংকং। চলতি মাসে শহররাষ্ট্রটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম জানান, হংকং আক্ষরিক অর্থে মন্দায় পড়েছে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, হংকংয়ে চলা অস্থিরতা অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে পারে। সংস্থাটি বলছে, সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি যেমনটা হংকংয়ে হচ্ছে, তা অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, এমনকি এর বাইরেরও বহু দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আইএমএফের প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি চলতি বছর ২০২০ সালে হবে যথাক্রমে শতাংশ দশমিক শতাংশ; উভয়ই আগের করা পূর্বাভাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম। সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর সিঙ্গাপুরের প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক শতাংশ এবং আগামী বছর শতাংশ, যা আগের তুলনায় দশমিক শতাংশ দশমিক শতাংশ কম। এশিয়া অঞ্চলের ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে চাহিদা স্থবির হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে বিনিয়োগ বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে দুর্বল হয়ে পড়েছে। দুর্বল আঞ্চলিক বাণিজ্যের কারণে এশিয়ার উদীয়মান বাজারগুলোর রফতানি ২০১৮ সালের শেষ দিক থেকে সংকুচিত হচ্ছে।

আইএমএফের এবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর চীনের প্রবৃদ্ধি হবে দশমিক শতাংশ এবং আগামী বছর দশমিক শতাংশ, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় যথাক্রমে শূন্য দশমিক এবং শূন্য দশমিক শতাংশীয় পয়েন্ট কম। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিবাদ দেশটির প্রবৃদ্ধিতে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য বিবাদ মিটে গেলে তা এশিয়ার জন্য বড় স্বস্তির বিষয় হবে। আর যদি বিবাদ আরো বাড়ে, তবে ঝুঁকিও বাড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলছে, চীনের প্রত্যাশার তুলনায় বেশ শ্লথগতি পুরো অঞ্চলের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এছাড়া জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরো অবনতি ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে তুলছে। এছাড়া বিশৃঙ্খলভাবে ব্রেক্সিট হলে তার প্রভাব পড়বে। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন