উপেক্ষিত হাইকোর্টের নির্দেশনা

দুই মাসে ফিটনেস নবায়ন মাত্র ৮৯ হাজার গাড়ির

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফিটনেস সনদ হালনাগাদ না করা লাখ ৮০ হাজার গাড়িকে দুই মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়নের জন্য গত ২৩ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সময়ে মাত্র ৮৯টি গাড়ির ফিটনেস হালনাগাদ হয়েছে। ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কে এখনো অবাধে চলছে আনফিট যানবাহন।

কোনো গাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী কিনা, তা নির্ণয় করে ফিটনেস সনদ দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এজন্য মালিককে প্রতি বছর একবার বিআরটিএর নিকটস্থ কার্যালয়ে গিয়ে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করাতে হয়। গাড়ির বডি, আসন, রঙ, লাইট, গতিবেগ, ব্রেক, অ্যাকসেলারেটর, ধোঁয়াসহ বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা করে সন্তোষজনক মাত্রায় পাওয়া গেলে ফিটনেস সনদ প্রদান করে সংস্থাটি। ফিটনেসে ছোটখাটো সমস্যা থাকলে মালিককে সেগুলো ঠিক করে ফের পরীক্ষার জন্য গাড়ি আনতে বলা হয়। বড় সমস্যা হলে গাড়িটি ধ্বংসের জন্য পাঠানো হয় ডাম্পিং স্টেশনে।

দেশে ফিটনেস সনদবিহীন গাড়ির সংখ্যা কত জানতে চলতি বছরের মার্চে একটি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় বিআরটিএ। সংস্থাটির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সারা দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা লাখ ৭৯ হাজার ৩২০। সবচেয়ে বেশি আনফিট গাড়ি আছে ঢাকা বিভাগে, লাখ ৬১ হাজার ১১৩টি। ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি আনফিট গাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগে, লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮টি। একইভাবে রাজশাহীতে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুরে হাজার ৫৬৮, খুলনায় ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেটে ৪৪ হাজার ৮০৫ বরিশাল বিভাগে আনফিট গাড়ি থাকার কথা জানায় বিআরটিএ। ওইদিন হাইকোর্ট  দুই মাসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ফিটনেস নবায়ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে দুই মাসে হালনাগাদ হওয়া মোটরযানের তালিকা সংগ্রহ করেছে বণিক বার্তা। এতে দেখা গেছে, গত আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৮৯ হাজার ২৬৯টি গাড়ির ফিটনেস সনদ হালনাগাদ করা হয়েছে। এর সিংহভাগই হয়েছে ঢাকা মহানগর এলাকায়। বিআরটিএর তিনটি ঢাকা মেট্রো শাখা থেকে ফিটনেস হালনাগাদ হয়েছে ৫৭

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন