বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান বিরোধ আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেড। দুর্নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের একটি রায়কে কেন্দ্র করে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানের জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে জ্বালানি খাতের বহুজাতিক কোম্পানিটি।
জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আপস-মীমাংসা করতে নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খণিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানকে চিঠি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ এ সমস্যার সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান করতে পারবে। এ কারণে তাদের প্রতি ওই চিঠি লিখেছেন নাইকো রিসোর্সেস লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উইলিয়াম টি হরনাডে।
চিঠিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাইকোর দুটি পরোক্ষ সহায়ক প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্ব বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে। আর এ বিষয়ে আপনি অবগত বলে আমি বিশ্বাস করি। সম্প্রতি স্বাধীন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের এক রায়ের ফলে এ পুরো দ্বন্দ্বের মৌলিক গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানে আলোচনা শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমি সম্মানের সঙ্গে অনুরোধ করছি।’
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেড (নাইকো ফেনী-ছাতক) ফেনী ও ছাতকে দুটি গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছিল। অমীমাংসিত এ বিষয়টির সঙ্গে কয়েক লাখ ডলারের গ্যাস সরবরাহ জড়িত রয়েছে, যে গ্যাস পেট্রোবাংলা গ্রহণ করলেও তার অর্থ কখনো পরিশোধ করেনি। এছাড়া ২০০৫ সালে ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে দুটি বিস্ফোরণের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটির দায় চাপানো হয়েছে নাইকোর ওপর। এছাড়া ফেনী ও ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগও আনা হয়েছে। চলমান এ দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও ব্লক-৯-এর বাঙ্গুরা গ্যাসক্ষেত্রে (নাইকো ব্লক-৯) বিনিয়োগ করেছে নাইকো রিসোর্সেস। ফেনী ও ছাতক গ্যাসক্ষেত্রের চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পেট্রোবাংলা নাইকো ব্লক-৯ থেকে উত্তোলিত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস ও কনডেনসেটের মূল্য পরিশোধ আটকে দিয়েছে। যদিও পেট্রোবাংলা এখনো গ্যাস ও কনডেনসেটের সরবরাহ নিচ্ছে। আর বাংলাদেশের আদালত নাইকো ব্লক-৯-এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত