ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ

দুদকের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনুসন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। তাদের মধ্যে তিনজন উপপরিচালক, দুজন সহকারী পরিচালক তিনজন উপসহকারী পরিচালকের নাম রয়েছে। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

সভায় আটটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমিশন প্রদত্ত আইন বিধিমালার আওতায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের কেউ যদি ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্তকার্য সম্পন্ন না করে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করেন, তাহলে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। যারা কমিশন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

কমিশনের কর্মকতা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আটটি অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছে কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি সভায় কেউ কোনো প্রকার দুর্নীতি বা অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন কিনা, কোনো ব্যক্তিকে অযথা হয়রানি করেছেন কিনা অথবা ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্য কোনো অপরাধ করছেন কিনা জাতীয় কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়োর বখত, সদস্য মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মফিজুর রহমান ভূঞা, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান পরিচালক (প্রশাসন মানবসম্পদ) জালাল সাইফুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ দমনের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠান। দেশের উন্নয়নে সবাই এটিকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন