ইজিপ্টএয়ারের ত্রুটিপূর্ণ দুই উড়োজাহাজই ফিরিয়ে দিল বিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহর থেকে বিদায় নিল মিসরের ইজিপ্টএয়ার থেকে লিজে আনা দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ। গতকাল সকালে ফিলিপাইন থেকে লিজের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নিয়ে মিসরে পৌঁছে দেয় বিমানের ফ্লাইট অপারেশন বিভাগ। এর আগে গত ১৬ জুলাই প্রথম উড়োজাহাজটি মিসর পাঠানো হয়। বহরে থাকা ত্রুটিপূর্ণ উড়োজাহাজ দুটির জন্য বিমানের লোকসান হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি ফিলিপাইনের একটি রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ছিল। এটি ফিরিয়ে দিতে বিমানের পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন (ডিএফও) ক্যাপ্টেন এবিএম ইসমাইল ক্যাপ্টেন ইসহাকের নেতৃত্বে একটি দল ফিলিপাইনে যায়। সেখান থেকে গতকাল তারা উড়োজাহাজটি মিশরে নিয়ে যান।

ইজিপ্টএয়ারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, লিজে আনার সময় উড়োজাহাজ দুটি যে অবস্থায় ছিল, ফেরত দেয়ার সময়ও সে অবস্থায় ফেরত দেয়ার কথা ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ছয় মাস উড়োজাহাজ দুটি ফিলিপাইনের একটি ওভারহোলিং শপের হ্যাঙ্গারে রেখে মেরামত করা হয়।

প্রসঙ্গত, মিসরের ইজিপ্টএয়ার থেকে বছরের চুক্তিতে ড্রাই লিজে দুটি ২টি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে বিমান। এর মধ্যে একটি উড়োজাহাজ (রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস২-এএইসএল, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬৩০) ২০১৪ সালের মার্চে বিমান বহরে যু্ক্ত হয়। অপর উড়োজাহাজটি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর এস২-এএইসকে, কনস্ট্রাকশন নং ৩২৬২৯) যুক্ত হয় একই বছর মে মাসে। লিজের চুক্তি অনুসারে উড়োজাহাজ দুটি যাত্রী পরিবহন করুক আর না করুক মাসে উড়োজাহাজ প্রতি লাখ ৮৫ হাজার ডলার ( কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার টাকা) ভাড়া দিতে হবে। সব ধরনেণর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিমানকে বহন করতে হবে। পাঁচ বছর আগের চুক্তি বাতিল করতে পারবে না বিমান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন